সদ্য ইউরোপ সফর থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর দেশে ফিরেই তাপপ্রবাহ থেকে বর্ষার আগমনের প্রস্তুতিতে ভারত কোন কোন বন্দোবস্ত করছে তা পর্যালোচনা করতে জরুরি বৈঠকে বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইএমডি ও এনডিএম-এর উর্ধ্বতন কর্তারা। সেখানে সারা দেশে যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে তার পরিস্থিতি তুলে ধরে আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভাগের কর্তারা। পেশ করা হয় চলতি বছরের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত পরিস্থিতির খতিয়ান। বৈঠকে স্থির হয়, তাপপ্রবাহ হোক বা বর্ষা, সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে কেন্দ্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।
এদিকে, দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর আগমনে বর্ষার আগমন নিয়ে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত প্রান্তিক স্তরে জেলায় এলাকাভিত্তিক স্তরে সতর্কতা পৌঁছনোর কথা বলা হয়েছে। এদিকে, বৈঠকে বর্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী সাফ ভাষায় জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রণে সমস্ত রাজ্যকে প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ করতে হবে। এনডিআরএফকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোন কীভাবে মোতায়েন হতে হবে, তার নীতি নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, আবহাওয়ার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর জোর দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমানো যায়, তার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। এছাড়াও বর্ষায় জলবাহিত রোগ থেকে মানুষকে দূরে রাখতে প্রস্তুত থাকার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতে কোভিডের 'বাড়তি' মৃত্যুর পরিসংখ্যান নিয়ে হু-কে পাল্টা প্রশ্ন ভারতের
এদিকে, তাপপ্রবাহ নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাপপ্রবাহে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনতে সার্বিক উদ্যোগের বার্তা দেন তিনি। এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রুখতে বিশেষত হাসপাতালে ও বনাঞ্চলে আরও উদ্যোগী হওয়ার বার্তা দেন তিনি। তাপমাত্রার ক্রমাগত বৃদ্ধিকে নজরে রেখে হাসপাতালগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করার ডাক দেন মোদী। বনাঞ্চলে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, যেখানে আগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা থাকতে পারে, সেই জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে। এছাড়াও অগ্নিকাণ্ড রুখতে আরও তৎপর থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।