বারবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে বামছাত্র অধ্যুষিত জওহারলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি। সেই জেএনইউ-তে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি উন্মোচনের অনুষ্ঠানে তাই প্রধানমন্ত্রীর কথায় ঘুরে ফিরে এল বিভিন্ন আদর্শের মানুষদের জাতীয় স্বার্থে একযোগে কাজ করার কথা। হোক না ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান, জেএনইউ-র পড়ুয়াদের সরাসরি বক্তব্য রেখে নিজের মনের ভাব ব্যক্ত করার সুযোগ হাতছাড়া করলেন না মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন জাতীয় স্বার্থের প্রশ্ন যেখানে জড়িত, সেখানো কোনও আদর্শে আবদ্ধ থাকা উচিত নয়। তিনি বলেন যে স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে জরুরি অবস্থা, বহুবারই ভিন্ন আদর্শের মানুষ একজোট হয়েছেন একটি অভিন্ন জাতীয় লক্ষ্যে। মোদী বলেন যে আদর্শগত গোঁড়ামি গণতন্ত্রের ভিতকে নড়বড়ে করে দেয়। নিজের আদর্শে সবাই গর্ববোধ করে, কিন্তু সবসময় সেটা যেন জাতীয় স্বার্থে হওয়া উচিত ও কোনও ভাবেই দেশবিরোধী হওয়া উচিত নয়, বলেন মোদী। ইঙ্গিতটা কোন দিকে সেটা বোঝা আদৌ শক্ত নয়। তিনি বলেন আদর্শ ত্যাগ না করেই জাতীয় স্বার্থে এক হওয়া যায়। তবে সংকীর্ণ স্বার্থে আদর্শ জলাঞ্জলি দেওয়া উচিত নয় বলেও জানান মোদী।
এদিন নিজের সরকারের বিভিন্ন কাজের ফিরিস্তিও দেন প্রধানমন্ত্রী ও বলেন যে সংস্কার করা মানে ভোটে হেরে যাওয়া, এই ধারণা তাঁরা ভেঙে দিয়েছেন। মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেই কৃষি ও শিল্পে সংস্কার হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিন জাতীয় শিক্ষা নীতির প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন মোদী ও বলেন যে বেশি সংখ্যক মানুষের অন্তর্ভুক্তি হচ্ছে এই নীতির মূল লক্ষ্য। স্বামীজির মূর্তি সবাইকে সংবেদনশীলতা ও দেশের প্রতি ভালোবসা শেখাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। কীভাবে স্বামীজি আমেরিকায় গিয়ে প্রাচ্যের কথা বলেছিলেন, ভারতীয় দর্শন ও সংস্কৃতির কথা তুলে ধরেছিলেন, সেটা এদিন বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেন মোদী।