সবরমতী আশ্রম থেকে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’–এর সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যাঁরা উপেক্ষিত তাঁদের দিকে আলো ফেলা। আসলে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সামিল থেকেছেন যাঁরা তাঁদের স্মরণ করার জন্য একটা উদ্যোগের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ সপ্তাহ আগে এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী সূচনা করলেন ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে’র।
তিনি সবরমতী আশ্রমে যান। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলে থাকেন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে আরও অনেক সংগ্রাম–আন্দোলনের কথা বলা উচিত ছিল। কিন্তু বলা হয়নি। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে সেই দিকে তাকিয়েই নরেন্দ্র মোদী এই আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সূচনা করলেন। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সবরমতি আশ্রম থেকে গুজরাটের ডান্ডি পর্যন্ত ২৪১ মাইল পদযাত্রার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
আজাদি কা অমৃত মহোৎসব ভারত সরকার আয়োজিত বৃহৎ এক অনুষ্ঠানের অংশবিশেষ। ইতিহাসে উপেক্ষিতদের অবদানের কথা বলতে গিয়ে অন্যান্য বহু নেতার কথা বললেও মাত্র একবার জওহরলাল নেহরুর নাম উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বারবার বলেছেন বল্লভভাই প্যাটেল, গান্ধীজি, সুভাষচন্দ্র বসুর কথা। ট্যুইটারে নরেন্দ্র মোদী লেখেন, ‘সবরমতী আশ্রম থেকে আজ অমৃত মহোৎসব কর্মসূচি শুরু হল। এই জায়গা থেকেই ডান্ডি অভিযান শুরু হয়েছিল। দেশের সকল নাগরিক আত্মনির্ভর হবেন।’
সূত্রের খবর, এই মহোৎসব যাত্রার প্রথম ৭৫ কিলোমিটার পথ ১০৩ জনের নেতৃত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল। উল্লেখ্য, এই উপলক্ষ্যে আমদাবাদের সবরমতী আশ্রম থেকে নভসারি জেলার ডান্ডি পর্যন্ত এক প্রতীকী পদযাত্রায় সামিল হয়ে ১৯৩০ সালে গান্ধীজি এই পথে হেঁটেছিলেন। আসন্ন এই সমস্ত অনুষ্ঠানসূচি তৈরির দায়িত্বে থাকা কমিটির শীর্ষে আছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন করোনা টিকার বিষয় টেনেও বক্তৃতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায় উঠে আসে আত্মনির্ভর ভারতের প্রসঙ্গ। আর বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধীর আশীর্বাদে আমরা ভারতীয়রা সমস্ত কাজ সঠিকভাবে পালন করব এবং লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাব।’