শুক্রবার প্রথমবার মুখোমুখি বৈঠক করতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কূটনৈতিক মহলের মতে, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি, করোনাভাইরাস, টিকাকরণের ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ, জলবায়ু সমস্যা, উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ক্ষেত্রে জোট, সাইবার দুনিয়া, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুক্ত ও বাধাহীন বাণিজ্যের মতো বিষয়গুলি আলোচনায় উঠে আসবে।
ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর প্রথম বিদেশ সফরে ঠাসা কর্মসূচি আছে মোদীর। বাইডেনের সঙ্গে একান্তে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসে কোয়াডের (চতুর্দেশীয় অক্ষ - ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা) সদস্যভুক্ত দেশের নেতাদের (জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়েশোহিদি সুগা এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন) সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে থাকবেন বাইডেনও। গত মার্চে মোদী-সহ চার রাষ্ট্রনেতা ভার্চুয়ালি কোয়াডের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। তারইমধ্যে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের। তা নিয়ে সরকারিভাবে অবশ্য কোনও পক্ষই মুখ খোলেনি।
তবে ইতিমধ্যে মোদীর পরবর্তী কর্মসূচি মোটের উপর নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। ওয়াশিংটনে কর্মসূচির পরই সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দেবেন মোদী। পরদিন (শনিবার) রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন। প্রথমে বক্তা হিসেবে মোদীর নামই আছে। এমনিতে ২০১৯ সালে শেষবার স্বশরীরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিয়েছিলেন মোদী। গত বছর করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ভার্চুয়ালি বৈঠক হয়েছিল। সূত্রের খবর, শনিবারই দেশে ফিরে যাবেন মোদী। তার আগে একাধিক কর্মসূচি থাকতে পারে। তবে অন্যবারের মতো এবার মোদীর সূচি সম্ভবত খুব একটা বিস্তৃত হবে না। অন্যবার বিভিন্ন দেশের নেতা, আমেরিকার রাজনীতিবিদ, ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করেন মোদী।