শুক্রবার ওড়িশায় এক সভায় ফের একবার চেনা ছন্দে কংগ্রেস ও বিরোধী দলগুলিকে টার্গেট করে তোপ দাগেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, যাঁরা ক্ষমতাকে নিজেদের 'জন্মগত অধিকার' বলে মনে করেন, তাঁরা ১০ বছর ক্ষমতায় আসতে সক্ষম হননি। ভুবনেশ্বরে এক সভায় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী অভিযোগ করেন, বিরোধীরা নাগরিকদের বিভ্রান্ত করছেন। তাঁর দাবি, ক্ষোভের জেরে দেশের বিরুদ্ধ চক্রান্ত করছেন বিরোধীরা।
নরেন্দ্র মোদী বিরোধী ইস্যুতে বলেন,'গণতন্ত্র ও সংবিধানের সীমারেখার মধ্যে থেকেও তারা তাদের মতামত প্রকাশ করে। ভারতের সংবিধানের চেতনাকে চূর্ণ করা হয়েছে,গণতন্ত্রের সকল নিয়ম প্রত্যাখ্যান করা হয়।' একইসঙ্গে মোদী বলেন,'যাঁরা ক্ষমতাকে তাঁদের জন্মগত অধিকার বলে মনে করেন তাঁরা গত এক দশক ধরে কেন্দ্রে ক্ষমতা পাননি। এখন প্রথম দিন থেকেই মানুষ অন্য কাউকে আশীর্বাদ করায় তাঁরা দেশের মানুষের ওপর ক্ষুব্ধ।'
( ট্রাম্পের দেশে চন্দননগরের জয়ন্ত হচ্ছেন NIHর পরবর্তী ডিরেক্টর, কেমন মানুষ তিনি? বলছেন পরিজনরা)
আক্রমণের ধারা আরও শানিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন,' এই পরিস্থিতি তাঁদের এতটাই ক্ষোভে পূর্ণ করেছে যে তাঁরা দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে ব্যস্ত।' মোদী বলেন,' এরা (বিরোধী) এবার জনগণের উপর তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছে। তারা দেশকে ভুল পথে নিয়ে যেতে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে শুরু করেছে।' বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচারের দোকান খোলা’র কটাক্ষ সূচক মন্তব্য় করেন মোদী। নরেন্দ্র মোদী বলেন,' ৫০-৬০ বছর ধরে চলছে তাদের মিথ্যা ও গুজবের দোকান। এখন তারা এই অভিযান জোরদার করেছে। এমতাবস্থায়, সজাগ নাগরিকদের জন্য, বিজেপি কর্মীদের জন্য, যাঁরা দেশকে ভালবাসেন এবং যাঁরা সংবিধানকে সম্মান করেন, তাঁদের জন্য এই ধরনের মানুষদের (বিরোধীরা) কাজ, উদ্দেশ্য এবং কাজ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।' ওই সভায় মোদী বলেন,' তাই আমি সকল দেশবাসীকে বলতে চাই, আমাদের প্রতি মুহূর্তে সতর্ক থাকতে হবে এবং মানুষকে সচেতন করতে হবে। প্রতিটি মিথ্যার মুখোশ ফাঁস করতে হবে।'