লালু প্রসাদ যাদব। মুম্বইতে বিরোধী জোটের মিটিংয়ে বক্তব্য রাখলেন প্রবীন নেতা। তবে জাতীয় রাজনীতিতে লালু প্রসাদ যাদবের একটা আলাদা স্টাইল আছে। এদিনও একেবারে ফুল ফর্মে ছিলেন লালুপ্রসাদ। লালুপ্রসাদ এদিন মঞ্চে উঠতেই একেবারে তুমুল হাততালি।
তিনি বলেন, মোদীর পার্টিকে বাদ দিয়ে সবাইকে অভিনন্দন। হেসে ফেলেন উপস্থিত নেতৃত্ব। এরপর লালু বলেন, এই দেশের বিভিন্ন পার্টির নেতারা আলাদা আলাদা ছিলাম। মোদীর সুবিধা হচ্ছিল। এবার এক মঞ্চে এলাম। এবার বিজেপি হঠাও দেশ বাঁচাও। এই দেশের মাইনরিটিরা সুরক্ষিত নন। দেশের দারিদ্রতা বাড়ছে। টমেটোর যা হাল বুঝতেই পারছেন। টানা লড়াই চালাতে চালাতে এবার আমরা এক মঞ্চে এসেছি। আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারছি। সংগঠনের একটা দিশা দেখতে পাচ্ছি।
এরপর চাঁচাছোলা খোঁচা লালুর। তিনি বলেন, বলা হত দেশের টাকা নাকি সুইস ব্যাঙ্কে জমা রয়েছে। মোদী বলতেন সুইস ব্য়াঙ্ক থেকে সেই টাকা এনে ১৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। আমরাও খাতা খুলেছিলাম। আমার পরিবারে ১১জন রয়েছেন। ছেলে মেয়ে মিলিয়ে। দেখলাম যাক বাবা, এবার টাকা আসবে। দেশের টাকা ফিরে আসছে আপত্তি কোথায়? কিন্তু কোথায় কি কিছুই পেলাম না। গোটা দেশ খাতা খুলল। কিন্তু মিলল কী? অনেকেই খাতা খুললেন। কিন্তু কেউ কিছু পেলেন না।
কার্যত বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা কালো টাকা পাওয়ার জন্য জনধন অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন লালু। কিন্তু মিলল না কিছুই। মোদীকে জোর খোঁচা লালু প্রসাদের।
লালু বলেন, চারদিকে দারিদ্রতা। আর বলছে, দেশ এগোচ্ছে। দেশের এমন কোনও নেতা নেই যাকে ইডি সিবিআই ছোঁয়নি।একটা সময় শুনতাম সামন্ত, জমিদার শ্রেণির লোকজন গরিব লোকজনকে ফাঁসিয়ে দিত। এখন সেটা অন্যভাবে হচ্ছে।
লালু বলেন, আমার মেয়ে সিঙ্গাপুরে থাকে। আমার মেয়ে আমার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে। আমার পাঁচ ছটা অপারেশন হয়েছে। সবার আশীর্বাদে আমি জীবিত রয়েছি। মোদীজিকে হঠিয়ে আমরা বিশ্রাম নেব। এটা আমাদের সংকল্প। শুনে নিন মোদীজি আগে থেকেই আমি আপনার সঙ্গে লড়াই করে এসেছি এবারও করব। … তবে এদিন তিনি অমিত শাহের নাম কার্যত ভুলে যান। পরে বেশ কিছুটা কথাবার্তার পরে তাঁকে একজন অমিত শাহের নাম মনে করিয়ে দেন। এরপর তিনি বলেন, অমিত শাহের সঙ্গেও লড়াই করেছি…