সমরকন্দে সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত চলবে সাংহাই কো অপরেশন অর্গানাইজেশন সামিট, যা বিশ্ব রাজনীতিতে এসসিও সামিট হিসাবেও পরিচিত। যে বৈঠকে সভাপতিত্ব এই বছর করছে ভারত। এই বৈঠকের ফাঁকেই চিনের রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক নিয়ে ছিল জল্পনা। তবে, চিনের তরফে কোভিডের কড়া বিধির জেরে তা সম্ভব হয়নি।
এসসিও বৈঠকে যাঁরাই চিনের রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের আর্জি জানাচ্ছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই কড়া কোভিড বিধির মধ্যে দিয়ে যাওয়ার কথা বলছে বেজিং। আর বেজিংয়ের এই কড়া কোভিড প্রোটোকলের জেরেই এসসিও বৈঠকের ফাঁকে মুখোমুখি মোদী জিনপিং বৈঠকের সম্ভাবনা উড়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই হংকংয়ের এক রাজনীতিবিদের সঙ্গে দেখা করেন শি জিনপিং। তারপরই জানা যায়, ওই রাজনীতিবিদ কোভিড পজিটিভ। যার জেরে কড়া কোয়ারেন্টাইন বিধির মধ্যে থাকতে হয় চিনের রাষ্ট্রনেতাকে। এরপর থেকে আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি হচ্ছে না কোভিড বিধ্বস্ত চিন। ফলে তাদের প্রেসিডেন্টকে তাঁরা কড়া কোভিড বিধির আওতায় যেমন রাখছে, তেমনই তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ করতে আসা ব্যক্তিত্বদেরও একই বিধি পালন করতে হচ্ছে। 'মন ছুঁয়ে গিয়েছে', তাঁর সময়কাল নিয়ে মোদীর প্রশংসা পেয়ে প্রতিক্রিয়া কোবিন্দের
এরই মাঝে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোই একমাত্র রাজনীতিবিদ যাঁর সঙ্গে দেখা করছেন চিনের প্রেসিডেন্ট। দীর্ঘ ২ বছর কোভিডের কড়া বিধির পর আন্তর্জাতিক মঞ্চের একমাত্র ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই শি জিনপিং দেখা করছেন। তাও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টকে কড়া কোভিড বিধি পালন করতে হয়। বিমানে সওয়ার হওয়ার আগে তাঁকে কোভিড বিধি পালন করতে হয়। তাঁর কোভিড টেস্ট করা হয়। এরপর বিমান থেকে নেমেও করা হয় কোভিড টেস্ট।
উল্লেখ্য, স্ট্র্যাটেজিক আইল্যান্ড হিসাবে ইন্দোনেশিয়ার গুরুত্ব কম নয়। কারণ, জি ২০ তে এবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ ইন্দোনেশিয়া। যা চিনের কাছে ইন্জো পেসিফিক রাজনীতিতে খুবই প্রাসঙ্গিক। এদিকে, এসসিওর তরফে কড়া কোভিড বিধি লাগু হচ্ছে। ফলে সেদিক থেকে ভারত চিন দুই রাষ্ট্রনেতার সম্মুখ বৈঠক সম্ভবত হচ্ছে না এসসিওতে।