সাম্প্রতিককালে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নয়া উচ্চতায় পৌঁছেছে। গতবছর কোভিড পরবর্তী প্রথম বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদী গিয়েছিলেন বাংলাদেশে। এবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চারদিনের সফরে এসেছেন ভারতে। আজকে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। এরপর নদীর জল বণ্টন সহ ৭টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী মোদীর নামে গুণগান করতে শোনা গেল প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে। (আরও পড়ুন: ‘চেষ্টা করলাম হিন্দিতে বলতে’, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান না ভোলার বার্তা হাসিনার)
মোদীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে হাসিনা বলেন, ‘আমি মোদীজির দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করি। তাঁর নেতৃত্বে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও নিকটতম প্রতিবেশী। ভারত ও বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।’ হাসিনা এদিন বলেন, ‘দুই দেশ অনেক অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান করেছে এবং আমরা আশা করি যে তিস্তার জল বণ্টন চুক্তি সহ সকল অমীমাংসিত সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে।’
আরও পড়ুন: মোদী-হাসিনা বৈঠকের পর নদীর জল বণ্টন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর দুই দেশের
এর আগে সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে মুজিব কন্যা বলেছিলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদান আমরা কখনও ভুলব না। আমি আশা করি আমার ভারত সফরকালীন অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিক বিকাশ এবং আমাদের জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা। আমরা এই কাজটা করতে সক্ষম হব। ভারত আমাদের বন্ধু। আমি যখনই ভারতে আসি, তা আমার জন্য আনন্দের। বন্ধুত্বের মাধ্যমে আপনি যেকোনও সমস্যার সমাধান করতে পারেন। তাই, আমরা সবসময় তাই করি।’ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল আমাদের জনগণের দারিদ্র্য বিমোচন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন। আমি মনে করি, এই সমস্ত ইস্যুতে আমাদের দুটি দেশই একসঙ্গে কাজ করছে। এতে শুধু ভারত ও বাংলাদেশের মানুষই নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ ভালো জীবন পাবে।’