অগ্নিপথ স্কিম নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, 'এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিম্নমানের রাজনীতি করছেন। এমনকী কার্গিল দিবসে শহিদদের স্মৃতি অনুষ্ঠানে গিয়েও তিনি এই কাজ করছেন। এর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের কাজ করেননি। মোদীজি বলছেন যে তাঁর সরকার এই অগ্নিপথ স্কিম লাগু করেছিল আর্মির নির্দেশে। কিন্তু এটা ডাহা মিথ্যে কথা। এটা আমাদের বাহিনীর উপর ক্ষমাহীন একটা অপমান। '
'মোদীজি আপনি এই মিথ্যে প্রচার করছেন। '
মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, 'প্রাক্তন আর্মি চিফ( অবসরপ্রাপ্ত) জেনারেল এমএম নারাভানে বলেছিলেন অন রেকর্ড যে ৭৫ শতাংশ নিয়োগ স্থায়ী করা হবে আর বাকি ২৫ শতাংশকে ৪ বছর পরে ফিরে যেতে হবে। আর মোদী সরকার ঠিক উলটোটা করলেন। আর জোর করে তিনি সশস্ত্র বাহিনীতেই এটা লাগু করলেন। '
এখানেই থেমে থাকেননি খাড়গে। তিনি লিখেছেন, 'নিউজ রিপোর্টে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন সেনা প্রধান( অবসরপ্রাপ্ত) জেনারেল এমএম নারাভানে তাঁর বইতে লিখেছেন যে বইটা মোদী সরকার প্রকাশ করতে দিচ্ছিলেন না, তিনি জানিয়েছিলেন যে অগ্নিপথ স্কিম আর্মির কাছে বেশ শকিং। নেভি ও এয়ারফোর্সের কাছেও এটা বেশ শকিং। এটা একেবারে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো ছিল। '
খাড়গে লিখেছেন, ‘মাত্র ৬ মাসের প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরা কি পেশাগত সেনা তৈরি করতে পারি? সেনারা দেশপ্রেম থেকে সেনাতে যোগ দেন, শুধু জীবনধারণ করার জন্য নয়। ’
'একাধিক অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক এই অগ্নিপথ স্কিমের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এটা জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করবে। এই স্কিমটা বন্ধ করার জন্য় তাঁরা পরামর্শ দিয়েছিলেন। এটা একেবারে অন রেকর্ড তাঁরা বলেছিলেন।'
খাড়গে লিখেছেন, ‘অগ্নিবীররা পেনশন পান না। তাঁদের গ্র্যাচুয়িটি নেই, ফ্যামিলি পেনশন নেই, তাঁদের সন্তানদের জন্য কোনও শিক্ষাভাতা নেই। ’
'মোদীজি এখনও পর্যন্ত ১৫জন অগ্নিবীর শহিদ হয়েছেন। তাঁদের সেই শহিদকে তো শ্রদ্ধা করুন। এই অগ্নিবীরকে নিয়ে দেশের যুবকদের মধ্যে অনেক ক্ষোভ ও রাগ দানা বেঁধে রয়েছে। কংগ্রেস পার্টির দাবি হল এই অগ্নিবীর স্কিমকে বাতিল করা উচিত। '
এর আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সংসদে বলেছিলেন, ' অগ্নিবীর স্কিম হল একটি ইউজ এবং থ্রো শ্রম। একজন জওয়ান পেনশন পাচ্ছেন, অন্যজন পাচ্ছেন না। আপনি জওয়ানদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করছেন।' রাহুলের দাবি ছিল, অগ্নিবীরের আওতাধীন জওয়ানরা পেনশন পাননা স্কিম অনুযায়ী। পাল্টা রাজনাথ তখনই বলেন, একজন অগ্নিবীরের সীমান্তে মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পান। রাহুলের দাবি, অগ্নিবীর প্রকল্পটি যথাযথ পরামর্শ ছাড়াই আনা হয়েছিল এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরাসরি নির্দেশে হয়েছে। '