রতন টাটার উইল ঘিরে বিতর্ক তৈরির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করা হল রিপোর্টে। উল্লেখ্য, রতন টাটার সম্পত্তির একটা বড় অংশ পাবেন মোহিনী মোহন দত্ত। তবে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, মোহিনী দাবি করছেন, তাঁর প্রাপ্য ৬৫০ কোটি টাকা। তবে উইলের এক্সিকিউটররা সম্পত্তির যে মূল্যায়ন করেছেন, তাতে এত টাকা হয়ত আসবে না মোহিনী মোহন দত্তের পকেটে। তবে সরকারি ভাবে এখনও রতন টাটার সম্পত্তির মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়নি। এখনও বম্বে হাই কোর্টে এই উইল প্রোবেট করানো হয়নি বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, রতন টাটার ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা ঘড়ি, পেইন্টিংয়ের মতো সামগ্রী, প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ডিপোজিট পেতে পারেন মোহিনী। (আরও পড়ুন: ভারতে ফেরা অবৈধবাসীদের ৩৩ জন গুজরাটি, সরকারি গাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হল বাড়িতে)
আরও পড়ুন: ২ বছর পর রেপো রেট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত RBI-এর, কমতে পারে EMI-এর বোঝা
এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, রতন টাটার সঙ্গে মোহিনী মোহন দত্তের সম্পর্কের বিষয়ে খুব একটা কেউ জানতেন না সেভাবে। তবে রতনের সঙ্গে প্রায় ৬ দশকের বন্ধুত্ব ছিল মোহিনীর। মোহিনীর মোহন দত্তের পরিবার এর আগে স্ট্যালিয়ন নামে একটি ট্র্যাভেল এজেন্সির মালিক ছিলেন। স্ট্যালিয়নের ৮০ শতাংশ মালিকানা ছিল দত্ত পরিবারের। বাকি ২০ শতাংশ মালিকানা ছিল টাটা গোষ্ঠীর কাছে। ২০১৩ সালে সেই সংস্থাটি তাজ গ্রুপ অফ হোটেলসের অংশ তাজ সার্ভিসেসের সাথে জুড়ে গিয়েছিল। এদিকে মোহিনী মোহন দত্ত একটা সময়ে থমাস কুকের অ্যাসোসিয়েট সংস্থা টিসি ট্রাভেল সার্ভিসেসের ডিরেক্টর পদেও ছিলেন। (আরও পড়ুন: ইউনুসের আঙুল তাঁর দিকে, ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি ভাঙার ঘটনায় সেই হাসিনা বললেন…)
আরও পড়ুন: ‘সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ড…’ জ্বলছে বাংলাদেশ, গভীর রাতে 'ঘুম ভাঙল' ইউনুসের
টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ থাকা অনেকেরই দাবি, মোহিনী মোহন দত্ত এর আগে বহুবার রতনের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জনসমক্ষে বলেছেন। রতনের শেষকৃ্ত্য সম্পন্ন হওয়ার সময় মোহিনী মহন বলেছিলেন, 'জামশেদপুরের একটি হোটেলে প্রথমবার আমদের দেখা হয়েছিল। তখন রতনের বয়স ২৪ বছর। রতন আমাকে সাহায্য করেছিল এবং আমাকে তৈরি করেছিল।' ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রন টাটার জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও হাজির ছিলেন মোহিনী। সেই অনুষ্ঠানে টাটার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কয়েকজনই আমন্ত্রিত ছিলেন বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, প্রয়াণকলে রতন টাটার সম্পত্তির মধ্যে ছিল টাটা সন্সের ০.৮৩ শতাংশ অংশীদাত্ব। সেই অংশীদারিত্ব যাবে রতন টাটা এনডাওমেন্ট ফাউন্ডেশনে। তাঁর নামে সেই ফাউন্ডেশন বিভিন্ন দাতব্য কাজের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও ব্যক্তিগত ভাবে ওলা, পেটিএম, লেন্সকার্ট, জিভামে, স্ন্যাপডিলের মতো স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছিলেন রতন টাটা। টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এমেরিটাস পদে থাকাকালীন রতন টাটা বছরে বেতন নিতেন আড়াই কোটি টাকা। তাঁর সম্পত্তির মধ্যে অন্যতম হল ৩৫০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট। এছাড়াও আলিবাগে ২০০০ স্কোয়ারফুটের একটি বাংলো এবং মুম্বইয়ের জুহু তারা রোডে দু'তলা একটি বাড়ি। তাঁর এই সব সম্পত্তি যাঁকে যা দিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা তাঁরা হাতে পাবেন বেশ কয়েক মাসের আইনি প্রক্রিয়ার পরে।