হায়দরাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে প্রতিক্রিয়া এসেছে বিভিন্ন দল থেকে। তবে সরাসরি কোনও মন্তব্য থেকে বিরত থেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘুরিয়ে কিছুটা বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র সাফ জানিয়ে দিলেন, গণতান্ত্রিক দেশে হায়দরাবাদ এনকাউন্টারের মতো ঘটনা ঠিক নয়।
আজ হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটের মঞ্চে কৃষ্ণনগরের সাংসদ বলেন, দ্রুত বিচার পাওয়ার প্রয়োজন আছে। কারণ, দেরিতে বিচার পাওয়া মানে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়া। তা বলে গণতান্ত্রিক দেশে এনকাউন্টারের মতো বিষয়ে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে জানান মহুয়া। তাঁর কথায়, এই রক্তলালসার সঙ্গে আমরা বরদাস্ত করতে পারি না। এটা ঠিক নয়। এটা জঙ্গলরাজ নয়। এটা আইনি প্রক্রিয়া নয়।
মহুয়ার সঙ্গে আলোচনায় ছিলেন কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি ও লাদাখের বিজেপি সাংসদ জামইয়াং নামগয়াল। আলোচনায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রসঙ্গও ওঠে। নাগরিকত্ব বিলের মাধ্যমে ধর্মীয় ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিভাজনের অভিযোগ তোলেন মহুয়া। তিবি বলেন, আগে যা ব্যক্তিগত পরিসরে বলা হত, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর তা জনসমক্ষে বলা হচ্ছে। এই বিলের মাধ্যমে সেই ধারার ভিত্তিপ্রস্তর তৈরি করতে চায় সরকার।বিরোধীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করাতে সরকারকে বিশেষ বেগ পেতে হবে না। তবে রাজ্যসভায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে কেন্দ্রকে। কিন্তু, বিজেপির দাবি, তিন তালাক বিরোধী বিলে যেমন অন্য দলও সমর্থন করেছিল, এবার অন্য দলের সমর্থনে রাজ্যসভাতে সহজেই বিলটি পাশ হবে। এনিয়ে প্রশ্ন করা হয়, বিরোধীরাও কেন বিলটিকে সমর্থন করছেন ? এপ্রসঙ্গে মহুয়া বলেন, নজরদারি চালানোর মতো বিষয়গুলি হাতিয়ার করে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে কিছু খুঁজে বের করছে। আর সংশোধনী বিলের পক্ষে ভোট দিতে চাপ দিচ্ছে।