প্রয়াত হলেন আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামী বিরসা মুন্ডার নাতি মঙ্গল মুন্ডা। এ সপ্তাহের শুরুতেই পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। রাজ্যের একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার চলছিল। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে সব প্রকাশ করেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। একইসঙ্গে শোকের ছায়া নেমেছে আদিবাসী মহলে।
আরও পড়ুন: নেহরু-পরিবারকে মহিমান্বিত করতেই বিরসা মুণ্ডাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি, তোপ মোদীর
মঙ্গল মুন্ডা হলেন, সুখরাম মুন্ডার বড় ছেলে। দুর্ঘটনার পর রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনা ঘটেছে গত ২৬ নভেম্বর। মঙ্গল এক বন্ধুর সঙ্গে একটি গাড়ির ছাদে খুন্তি থেকে তামারের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় দুর্ঘটনা ঘটে। সাইকো থানা এলাকার রুতাদিহ মোড়ের কাছে গাড়িটি উল্টে যায়। তাতে দুজনেই গাড়ির ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে যান। ঘটনায় দুজনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলের বন্ধু সামান্য আহত হলেও তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন মঙ্গলের অবস্থা দেখতে হাসপাতালে যান। বুধবার, তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক কল্পনা সোরেন। মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ শীতল মালুয়া, নিউরো সার্জারির প্রধান ডাঃ আনন্দ কুমার এবং মেডিক্যাল টিমের সদস্যের সঙ্গে দেখা করেন।
মেডিক্যাল টিমের কাছে মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলের শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চান। তারা জানান, মঙ্গলের অবস্থা গুরুতর এবং অস্ত্রোপচারের পরে তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা ছিল। তাঁর চিকিৎসায় যাতে কোনওরকমের খামতি না থাকে সে বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর জন্য উন্নতমানের চিকিৎসা ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রী প্রয়োজনে তাঁকে আরও উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর অবস্থা এতটাই গুরুতর ছিল যে ডাক্তাররা তাঁকে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। কিন্তু, তা সত্ত্বেও বাঁচানো গেল না মঙ্গলকে। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘আমি শ্রী মঙ্গল মুন্ডাজির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর প্রয়াত আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি। শোকাহত পরিবারকে এই কঠিন সময় সহ্য করার শক্তি প্রদান করেন ঈশ্বর।’