মানচিত্র বিতর্কে নেপাল ব্যাকফুটে থাকা সত্ত্বেও আগ্রাসী মন্তব্য থেকে বিরত থাকল ভারত। বরং ট্রেডমার্ক কূটনৈতিক কায়দায় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হল, বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
ভারতীয় ভূ-খণ্ডের লিমপিয়াধুর, লিপুলেখ এবং কালাপানিকে নেপালের মানচিত্র দেখানো নিয়ে দুই পুরনো ‘বন্ধু’ রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কে আরও খানিকটা চোনা পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানালেও প্রথম থেকেই তা কূটনৈতিকভাবে সমাধানের পক্ষে সওয়াল করেছে ভারত।এরইমধ্যে বুধবার ঘরেই ধাক্কা খেয়েছে নেপালের সরকার। তাতেও অবশ্য মানচিত্র ইস্যুতে নীতি বদলের হাঁটেনি ভারত।
বরং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের নীতি মেনে বৃহস্পতিবার সাউথ ব্লকের তরফে বলা হয়, ‘ভারত নেপালের উপর অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করে। কয়েক বছরে সম্পর্কের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বৃদ্ধির উদাহরণ আছে।’ একইসঙ্গে কাঠমান্ডুকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় যে কঠিন সময়েও ওষুধ-সহ বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী পাঠাচ্ছে ভারত।
নেপালের তুলনায় ধারেভারে এগিয়ে থাকলেও ভারত যে আগ্রাসী পথে হাঁটতে চায় না, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিষয়টির উপর নজর রাখছি। বিষয়টি নিয়ে নেপালে বিবেচনা চলছে। পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সব প্রতিবেশীর সঙ্গে আলোচনায় রাজি ভারত এবং সংবেদনশীলতা মাথায় রেখে।’