কোভিড অতিমারীর ভয়াবহতা কমে এসেছে। যদিও চিন এখনও করোনাতে জ্বর্জরিত। ‘জিরো কোভিড’ নীতির জেরে সেদেশে এখনও বহু শহরে বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। এরই মাঝে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই বিশ্বে ছড়িয়েছে মাঙ্কিপক্সের আতঙ্ক। আফ্রিকা থেকে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ, আমেরিকা সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। আর তাই মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্ক চিন। এই আবহে চিনের শীর্ষ স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ‘পরামর্শ’, মাঙ্কিপক্স থেকে সুরক্ষিত থাকতে বিদেশিদের ছোঁবেন না।
চিনা স্বাস্থ্য আধিকারিকের এই ‘পরামর্শে’র বিষয়টি সামনে আসতেই বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। চিনা আধিকারিকের মন্তব্যকে ‘জাতিবিদ্বেষী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার চিনে প্রথম মাঙ্কিপক্সের ঘটনা ধরা পড়ে। এরপরই চিনের শীর্ষ মহামারী বিশেষজ্ঞ উ জুনিউ নাগরিকদের সতর্ক করে বলেন যে এই রোগের সংক্রমণ এড়াতে বিদেশি এবং বিদেশ থেকে আগত কারও ত্বকের সঙ্গে সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
এদিকে চিনা বিশেষজ্ঞ আরও পরামর্শ দিয়েছেন যাতে হোটেল বা ভ্রমণের সময় কোথাও পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করলে ‘পোর্টেবল টয়লেট সিট’ ব্যবহার করতে। ডঃ জনিউর এই বক্তব্যের সমালোচনায় সরব হয়েছেন চিনা নেটিজেনদের একাংশ। গ্লোবাল টাইমের একটি উইবো (চিনের টুইটারের মতো অ্যাপ) পোস্টের তলায় কমেন্ট করে এক চিন নিবাসী বিদেশি লেখেন, ‘এটা কতটা বর্ণবাদী? আমার মতো যারা প্রায় ১০ বছর ধরে চিনে বসবাস করছেন এবং সীমান্ত বন্ধ থাকার কারণে যারা গত ৩ থেকে ৪ বছর ধরে নিজেদের পরিবারকে দেখেনি তাদের কী হবে?’ আরও একজন লেখেন, ‘তিনি কি যৌন সম্পর্কের কথা বলছেন নাকি শুধু ত্বকের সঙ্গে ত্বকের স্পর্শের কথা বলছেন? আমি অনুমান করছি, তিনি প্রথমটাই বোঝাতে চেয়েছেন। যখন কোনও বিদেশি অতিথি আসবেন, তখন তাঁর সঙ্গে হ্যান্ডশেক করা অনিবার্য। বাসেও ত্বকের সঙ্গে ত্বকের স্পর্শ এড়িয়ে চলা অসম্ভব।’