জয়শ্রী নন্দী
নির্ধারিত সময়ের দু'দিন পর দেশে ঢুকতে চলেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। তাতে অবশ্য বর্ষার স্বাভাবিক ছন্দে কোনও প্রভাব পড়বে না। বরং দেশে স্বাভাবিকভাবেই হবে বৃষ্টিপাত। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।
মঙ্গলবার মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, দীর্ঘকালীন গড় (লং-পিরিয়ড অ্যাভারেজ বা এলপিএ) ১০১ শতাংশ থাকবে। তবে ১৯৮১ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সেই দীর্ঘকালীন গড় ৯৬ থেকে ১০৪ শতাংশ বা গড় বৃষ্টিপাত ৮৮০ মিলিমিটার হওয়ার সম্ভাবনা আছে ৪০ শতাংশের মতো। উত্তর-পশ্চিম ভারতে দীর্ঘকালীন গড়ের ৯২ থেকে ১০৮ শতাংশ বৃষ্টিপাত হতে পারে। মধ্য ভারতে স্বাভাবিক থেকে বেশি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সেখানে দীর্ঘকালীন গড়ের ১০৬ শতাংশ বর্ষণের সম্ভাবনা আছে। দক্ষিণ ভারতীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে দীর্ঘকালীন গড়ের ৯৩ থেকে ১০৭ শতাংশ। তবে উত্তর-পূর্ব ভারতে বৃষ্টির ঘাটতি হতে পারে। সেখানে দীর্ঘকালীন গড়ের ৯৫ শতাংশ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।
তারইমধ্যে এই প্রথমবার বর্ষার ‘কোর জোন’-এর জন্য বিশেষ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ওড়িশা থেকে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত এলাকায় স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই অঞ্চলে দীর্ঘকালীন গড়ের ১০৬ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, ‘একেবারে বর্ষার কোর জোন এবং মধ্য ভারতে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাতের আশা করছি আমরা। এটা তখনই হয়, তখন বর্ষার বলয় সক্রিয় থাকে এবং বঙ্গোপাসগরের উপর নিম্নচাপ বলয় তৈরি হয়। আমাদের দেখতে হবে, সেটা হচ্ছে কিনা। বিভিন্ন মডেল দেখে মনে হচ্ছে, (বর্ষার জন্য) এটা ভালো বছর হতে চলেছে।’ সেইসঙ্গে তিনি জানান, বর্ষা একটি গতিশীল প্রক্রিয়া। তাঁর কথায়, 'গত ১৫ মে আমরা বলেছিলাম, নির্ধারিত সূচি তথা ১ জুনের কাছাকাছি ভারতে ঢুকে পড়বে বর্ষা। কিন্তু বর্ষা ঢুকে পড়ার ঘোষণার জন্য যে শর্ত আছে, তা পূরণ হয়নি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ক্রমশ অনুকূল হচ্ছে। তাই আমাদের আশা, ৩ জুনের আশপাশে বর্ষা ঢুকে পড়বে।'