জুলাইয়ে ঘাটতি ছিল বৃষ্টির। তবে সেই আক্ষেপ কিছুটা মিটে যাবে অগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে। ওই দু'মাসে স্বাভাবিক হতে পারে বর্ষা। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, সেই সময় দীর্ঘকালীন গড় (লং-পিরিয়ড অ্যাভারেজ বা এলপিএ) ৯৫ শতাংশ থেকে ১০৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে। তবে পূর্ব ভারত এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
এবার শুরুটা ভালো হলেও মাঝপথে অফ-ফর্মে চলে গিয়েছিল বর্ষা। ১৯ জুন থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একেবারে দিকভ্রষ্ট হয়েছিল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুনের শেষে দেশে ১০ শতাংশ অধিক বৃষ্টিপাত হয়েছিল। কিন্তু জুনের শেষ থেকে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শুষ্ক স্পেলের কারণে গত মাসে তা সাত শতাংশ ঘাটতিতে পরিণত হয়। ২৭ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছিল পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে। উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ভারতে ঘাটতি ঠেকেছিল সাত শতাংশে। শুধুমাত্র দক্ষিণ উপদ্বীপের অঞ্চলে ২৭ শতাংশ বাড়তি বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তারইমধ্যে আবার গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সাক্ষী ছিল মহারাষ্ট্রের কোঙ্কন উপকূল, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো বিভিন্ন এলাকা। মাসের একেবারে শেষপ্রান্তে পশ্চিমবঙ্গের একাংশেও ভারী বৃষ্টিপাত হয়।
মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, অগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে উত্তর-পশ্চিম ভারত, পূর্ব ভারত এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন এলাকায় স্বাভাবিকের থেকে কম বা স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। উপদ্বীপ অঞ্চল এবং সংলগ্ন মধ্য ভারতে স্বাভাবিক থেকে স্বাভাবিকের বেশি বর্ষণের সম্ভাবনা আছে। অগস্টে আবার স্বাভাবিকের কম থেকে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে মধ্য ভারত এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে। উপদ্বীপ অঞ্চল এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে স্বাভাবিক থেকে স্বাভাবিকের বেশি বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।