৬২৮ মিমি বৃষ্টি হয়েছে ২০২৪ সালে। এ বছরের বর্ষা যেমন আসার নাম নিচ্ছিল না, ফিরে যেতেও চাইছিল না। তবে, অবশেষে বন্যায় ভাসিয়ে, ফিরে যাচ্ছে বর্ষা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বর্ষার মেঘে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। এবারের বর্ষায় সারাদেশে ব্যাপক বিপর্যয়ও নেমে এসেছে।
২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো সারা দেশে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। একই সময়ে, উত্তর ভারতের জন্য এই বর্ষায় ১১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বষ্টি হয়েছে। এই মরসুমে উত্তর ভারতে মেঘ ছিল ৭.১ শতাংশেরও বেশি।
আরও পড়ুন: (Health Tips: জিমে গিয়ে টাকা খরচ করতে হবে না আর, বাড়িতে বসেই কমিয়ে ফেলুন বাড়তি ওজন)
উত্তর ভারতে বৃষ্টির পরিসংখ্যান
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, উত্তর ভারতে ভূগর্ভস্থ জলের অবস্থা খুবই খারাপ। দেশের এই অঞ্চলকে প্রায়ই বর্ষায় কম বৃষ্টিপাতের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু এবারের বর্ষা মরসুমে, ১ জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬২৮ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে উত্তর ভারতে। ২০১৩ সালের পর এই পরিমাণ বৃষ্টিপাত ছিল সবচেয়ে বেশি। যদিও এবার বর্ষা মরসুমে উত্তর ভারতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৭.১ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে, কিন্তু এই শতাংশ জাতীয় গড় হিসাব ৭.৮ শতাংশ থেকে কম।
রেকর্ডের দিকে তাকালে দেখা যায়, গত কয়েক বছরে জুন-সেপ্টেম্বর মাসে উত্তর ভারতে কিন্তু তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার উত্তর ভারতে বৃষ্টি হয়েছে সেপ্টেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহ পর্যন্তই। পার্বত্য এলাকার তুলনায় সমতল ভূমিতে ভালো বৃষ্টিপাত হয়েছে। উত্তর প্রদেশে রবি শস্যের জন্য চাষের জমির উর্বরতায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে এই বৃষ্টিপাত।
আরও পড়ুন: (Durga Puja 2024: টালা বারোয়ারির মণ্ডপে এবার হীরক রাজের সভা! উদয়ন পণ্ডিত থাকবেন ?)
মধ্য, পূর্ব, দক্ষিণ ভারতে বৃষ্টির রেকর্ড
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বর্ষায় এখনও পর্যন্ত মধ্য ভারতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখানে ১১৬৫.৬ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে, স্বাভাবিকের চেয়ে যা প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। এই বৃষ্টি ২০১৯ সালের পর মধ্য ভারতে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ছিল। কারণ ২০১৯ সালে, মধ্য ভারতে ১২৬৩.২ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি ছিল। মধ্য ভারতের পর দক্ষিণ ভারতে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ১ জুন থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, দক্ষিণ ভারতে ১৪.৩ শতাংশ বেশি ৮১১.৪ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ বছরের বর্ষায় পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে ১৩.৭ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এত বৃষ্টির কারণ কী
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বছরের বর্ষা দু' টি প্রধান কারণে প্রভাবিত হবে বলে আশা করা হয়েছিল। প্রশান্ত মহাসাগরের লা নিনো এবং ভারত মহাসাগরে একটি 'পজিটিভ ডাইপোল'। তবে এগুলোর কোনোটিই হয়নি। পরিবর্তে, অন্যান্য কারণগুলি বৃষ্টিপাত নামাতে সাহায্য করেছিল। আইএমডি প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন যে এবার বর্ষায়, এমজেও নামক নিরক্ষীয় ঝড় জুনের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। এই ঝড়ই বঙ্গোপসাগরে স্বাভাবিক নিম্নচাপের তুলনায় বেশি ঘূর্ণিঝড় তৈরি করেছে। এর দরুণই বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে।