জোটবদ্ধ হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করায় বাদল অধিবেশনে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সংসদের ভেতরে–বাইরে এই পরিস্থিতিতে সরকার কার্যত দিশেহারা। তাই বিরোধীদের এই বিক্ষোভের জেরে আজই মুলতুবি হয়ে যেতে পারে বাদল অধিবেশন। সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সংসদে বাদল অধিবেশন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তা যদি হয় সেটা হবে বিরোধীদের নৈতিক জয়, বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
বাদল অধিবেশনের শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আগ্রাসী ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু পেগাসাস ইস্যু সামনে আসতেই তোলপাড় হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষ। একইসঙ্গে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষি আইন–সহ নানা ইস্যুতে সোচ্চার হন বিরোধীরা। রোজই লোকসভা–রাজ্যসভার কাজে হইচই শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। তাতে সুস্পষ্ট জবাবও দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাত থেকে কাগজ ছিঁড়ে ফেলায় সাসপেন্ডও হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শান্তনু সেন। তবুও তাঁরা লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়েই গিয়েছে। যার ফলে একসঙ্গে ছয় সাংসদকে সাসপেন্ড হতে হয়।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সতর্ক করেন বিরোধী দলনেতাদের। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে ফোন করেন সুষ্ঠভাবে অধিবেশন পরিচালনার জন্য। কিন্তু বিরোধীরা তাতে সাড়া দেননি। বরং নিজেদের দাবিতেই অনড় ছিলেন। এমনকী সমালোচনায় সরব হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
একাধিকবার অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সেখানেই তিনি লোকসভা স্থগিত করে দেওয়ার ঘোষণা করতে পারেন বলে সূত্রের খবর। আগামী ১৩ অগস্ট পর্যন্ত বাদল অধিবেশন চলার কথা ছিল। তার দু’দিন আগেই অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকার। বিগত ১৯ দিন ধরেই অধিবেশন ব্যাহত হয়েছে। আটকে রয়েছে ওবিসি বিল। আজ বাদল অধিবেশন এই বিল পাশ হলেই অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হবে।