রবিবরা সন্ধেবেলা গুজরাটের মৌরবিতে ঝুলন্ত ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার জেরে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। এই রিপোর্টটি লেখার সময় সরাকরি ভাবে ১৪১ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানানো হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার নেপথ্যের কারণ নিয়ে ইতিমধ্যেই কাটছাঁট শুরু হয়েছে। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এল মৌরবির সিসিটিভি ক্যামেরার চাঞ্চল্যকর ফুটেজ। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েকজন যুবক ইচ্ছে করে ব্রিজটিকে নাড়াচ্ছেন। এরই মধ্যে আচমকা ব্রিজের কেবল ছিঁড়ে যায়। আর এরপরই ব্রিজটি পড়ে যায় জলে।
সারারাতে উদ্ধারকর্মীরা মোট ১৭৭ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এখনও অনেকে নিখোঁজ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাঁদের খোঁজে উদ্ধারকাজ জারি আছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকাজে শামিল হয় সেনা,বায়ুসেনা এবং নৌবাহিনীও। এদিকেগুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সংভি জানান,দুর্ঘটনার কারণ জানতে পাঁচ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষ উপলক্ষে ব্রিজটি ফের জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল।
জানা গিয়েছে,অজন্তা ঘড়ির প্রস্তুতকারক ওরেভা গ্রুপকে এই ব্রিজের দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিল মৌরবি পুরসভা। মৌরবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সন্দীপ সিং ঝালা সাংবাদিকদের বলেন,‘১৫ বছরের জন্য পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওরেভা কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল সেতুটি। চলতি বছরের মার্চ মাসে এটি সংস্কারের জন্য জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফের ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষে এটি খুলে দেওয়া হয়। সেতুটি খোলার জন্য কোম্পানিকে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল কি না তা আমাদের জানা নেই।’ পুর আধিকারিক আরও বলেন,সংস্কার কাজে কোম্পানিটি কী ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করেছে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও তথ্য নেই।
উল্লেখ্য, গুজরাটের মৌরবি জেলার মচ্ছু নদীর উপরব্রিটিশ জমানার সেতুটি বিগত বেশ কয়েকদিন বন্ধ ছিল রক্ষণাবেক্ষণের কারণে। এরপর কয়েকদিন আগেই ফের পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল এই সেতুটি। এই আবহে রবিবার সন্ধ্যায় সেই ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ে। সেইসময় ব্রিজে কয়েকশো জন ছিলেন বলে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রচুর শিশু এবং মহিলা ছিল।এই আবহে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বহু মানুষ।ঘটনা প্রসঙ্গেগুজরাটের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ব্রিজেশ মের্জা বলেন, ‘গত সপ্তাহে সংস্কার করা হয়েছিল সেতুটির। আমরা এই দুর্ঘটনায় হতবাক। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি... সরকার এই দুর্ঘটনায় দায় স্বীকার করছে।’