রবিবার সন্ধ্যায় ভেঙে পড়েছিল মৌরবি সেতু। এরপর ৪২ ঘণ্টারও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। তবে এখনও এই বিপর্যয়ে মৃত সবার দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। জানা গিয়েছে, এখনও জলের তলায় নদীবক্ষে কাদায় আটকে রয়েছে বহু মৃতদেহ। এই আবহে ক্রমাগত পাম্প চালিয়ে মচ্ছু নদীর জল তোলা হচ্ছে। নদী শুকিয়ে সেখান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করার চেষ্টা জারি রয়েছে।
উল্লেখ্য, গুজরাটের মৌরবি জেলার মচ্ছু নদীর উপর ব্রিটিশ জমানার সেতুটি বিগত বেশ কয়েকদিন বন্ধ ছিল রক্ষণাবেক্ষণের কারণে। এরপর কয়েকদিন আগেই ফের পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল এই সেতুটি। এই আবহে রবিবার সন্ধ্যায় সেই ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ে। সেইসময় ব্রিজে কয়েকশো জন ছিলেন বলে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রচুর শিশু এবং মহিলা ছিল। এই আবহে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বহু মানুষ।
এদিকে মৌরবির মর্মান্তিক ঘটনার নেপথ্যের কারণ নিয়ে ইতিমধ্যেই কাটছাঁট শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, অজন্তা ঘড়ির প্রস্তুতকারক ওরেভা গ্রুপকে এই ব্রিজের দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিল মৌরবি পুরসভা। মৌরবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সন্দীপ সিং ঝালা সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৫ বছরের জন্য পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওরেভা কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল সেতুটি। চলতি বছরের মার্চ মাসে এটি সংস্কারের জন্য জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফের ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষে এটি খুলে দেওয়া হয়। সেতুটি খোলার জন্য কোম্পানিকে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল কি না তা আমাদের জানা নেই।’