করোনার সেকেন্ড ওয়েভে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বিমানে আসছে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, ভেন্টিলেটর ইত্যাদি সামগ্রী। কিন্তু দেশজুড়ে এর সুষম বন্টন হচ্ছে তো? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
ইতালি থেকে সম্প্রতি একটি বড় অক্সিজেন উত্পাদন প্লান্ট পৌঁছেছে ভারতে। সঙ্গে এসেছে বিশেষজ্ঞ দল। গ্রেটার নয়ডার ITBP হাসপাতালে এই অক্সিজেন জেনারেশান প্ল্যান্ট ব্যবহার করা হবে। সঙ্গে এসেছে ২০টি ভেন্টিলেটরও।
একইভাবে ফ্রান্স ও জার্মানি থেকেও আসছে অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্ট। করোনা পরিস্থিতিতে ভারতে অক্সিজেনের আকাল দূর করাই এর মূল লক্ষ্য। ফ্রান্স থেকে রবিবারই এসেছে এমন ৮টি প্ল্যান্ট। অন্যদিকে চলতি সপ্তাহেই জার্মানি থেকে উড়ে আসবে বিমান।
অন্যদিকে ব্রিটেন থেকে সোমবারই এসেছে ৬০টি ভেন্টিলেটর।
কিন্তু এই সাহায্যের মাধ্যমে প্রাপ্ত সামগ্রীর সঠিক বন্টন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সঠিক তথ্য প্রকাশ করুক, দাবি বিরোধীদের একাংশের।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, একদল ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ আধিকারিক পুরো বিষয়টির দেখভাল করছেন। রাজ্য বিশেষে চাহিদা অনুযায়ী সামগ্রী প্রেরণ করা হবে বলে জানানো হয়।
বিদেশ থেকে সাহায্য আসার পরই তা ইন্ডিয়ান রেড ক্রস স্যোসাইটির হাতে তুলে দেওয়া হয়। সরকারের হয়ে সেটিই সমস্ত সামগ্রী গ্রহণ করে। ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে খবর, এরপর রেডক্রস, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও এইচএলএল লাইফ কেয়ার সাহায্যের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে।
কিন্তু এর পর বন্টনের ক্ষেত্রে কারা ভূমিকা নেয়, সে বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট তথ্য মেলেনি। কতটা, কখন বন্টন হচ্ছে, তাই নিয়েও নেই তথ্য।
এ বিষয়ে নয়া দিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, 'রেডক্রসের মাধ্যমে সাহায্য ভারত সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।' সংবাদমাধ্যমের কাছে কিভাবে সেগুলি বন্টন ও ব্যবহার করা হচ্ছে, সে বিষয়ে সরকার তথ্য দিক, মত তাঁর।