গত বছর জঙ্গি বিরোধী অভিযানে বেশি সফলতা এসেছে। এমনটাই দাবি করেছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার। তিনি জানিয়েছেন, 'গত বছর পুলিশ এবং জওয়ানদের সঙ্গে লড়াইয়ে ১৭১ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। যার মধ্যে ১৯ জন হল পাকিস্তানি জঙ্গি এবং ১৫২ জন স্থানীয় জঙ্গি।
এর পাশাপাশি বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগদানের সংখ্যাও গত বছর কিছুটা কমেছে। তিনি জানান, '২০২০ সালে যেখনে ১৬৭ জন মানুষ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীতে নাম লিখিয়েছিল, সেই জায়গায় গত বছর জঙ্গিতে যোগদানের সংখ্যাটা কমে ১২৮ হয়েছে। যার মধ্যে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও ১৬ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। বাকি ৩৯ জন এখনও জঙ্গিমূলক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
তদন্ত করে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত বছর নতুন করে যে ১২৮ জন জঙ্গিগোষ্ঠীতে নাম লিখিয়েছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই সোপিয়ান জেলার বাসিন্দা। গত বছর জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সাফল্য পেয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। দক্ষিণ কাশ্মীরে গত বছর ছ'জন জইশ জঙ্গীকে খতম করা হয়েছে। এছাড়াও দু'টি পৃথক এনকাউন্টারে চারজন জঙ্গি নিহত হয়েছে। আরও একটি এনকাউন্টারে ছয় জঙ্গি নিকেশ করা হয়েছে বলে বিজয় কুমার জানিয়েছেন। এছাড়াও কুলগামে ৩ জঙ্গি নিধন সম্ভব হয়েছে। সেই লড়াইয়ে আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন পুলিশ।
অন্যদিকে, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে জঙ্গিমূলক কার্যকলাপ কিছুটা কমেছে বলেই দাবি করেছেন তিনি। তিনি জানান, ২০২০ সালে যেখানে ২৩৮ টি জঙ্গিমূলক কার্যকলাপ ঘটেছিল, তা গত বছর কমে হয়েছে ১৯২ টি। সেইসঙ্গে জঙ্গিদের সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানির সংখ্যাও গত বছর কিছুটা কমেছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর মৃত্যুর সংখাটাও কিছুটা হলেও কমেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে গত বছর জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছিলেন এক পুলিশ ইনস্পেক্টর।