অসমের বন্যায় মৃতদের পরিবারপিছু দু'লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল (পিএমএনআরএফ) থেকে সেই অর্থ মঞ্জুর করা হবে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে একটি টুইটবার্তায় বলা হয়, 'অসমে বন্যার জেরে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, পিএমএনআরএফ থেকে তাঁদের পরিবারপিছু দু'লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।'
সেই অনুমোদনের ঘোষণার মধ্যেই বন্যায় অসমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ধুবরি জেলার আথানিতে জলে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার কিছুটা বৃষ্টি কমায় পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তা সত্ত্বেও রাজ্যের ২০ টি জেলার ১৩ লাখের বেশি মানুষ এখনও বন্যার কবলে আছেন।
রাজ্যের আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সবথেকে খারাপ অবস্থা বরপেটার। সেখানে প্রভাবিত হয়েছেন ৭.৪১ লাখের বেশি মানুষ। দক্ষিণ সালমারার ১.৯৫ লাখ মানুষ এবং গোয়ালপাড়ায় ৯৩,৩০০ জন বন্যার কবলে পড়েছেন। আপাতত ১,৬৩৬ টি গ্রাম জলের তলায় রয়েছে এবং ৬৭,৬২৮.০৬ হেক্টর চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রক্ষপুত্র-সহ একাধিক নদী। কেন্দ্রীয় জল কমিশন জানিয়েছে, নেমাতিঘাট, ধুবরিতে ব্রক্ষপুত্র, সনিতপুরে জিয়া ভারালি, ধরমতুলে কোপিলি এবং বরপেটায় বেকি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
সেই পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেয়ালের সঙ্গে কথা বলেন মোদী। পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্যকে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাসও দেন। সবমিলিয়ে মোদীকে ধন্যবাদ জানান সোনেয়াল। একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘এই কঠিন পরিস্থিতিতে অসমের মানুষের জন্য আপনার মানবিক পদক্ষেপ, আপনার উদ্বেগ এবং আপনার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনি যেভাবে উত্তর-পূর্বের মানুষের পাশে দাঁড়ান, তাতে তাঁরা মনে করেন, আপনি তাঁদেরই একজন।’
এদিকে, শুক্রবারও কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান এবং ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের ৭০ শতাংশ জলের তলায় রয়েছে। উদ্যান কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বনবিভাগের ২২৩ টি ক্যাম্পের মধ্যে ৪৮ টি ডুবে গিয়েছে।