মহামারি ‘পার্ট টু’ থিতিয়েছে।এই ফাঁকেই নয়া সংস্থা খুলতে উদ্যোগী হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে, কর্মসংস্থান বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে খোলা বাজারে। প্রায় দু’বছর ধরে করোনার জেরে চলা লকডাউন ও বিধিনিষেধের জেরে কাজ হারিয়েছেন মানুষ। ব্যবসা বাণিজ্যও তলানিতে ঠেকেছে। তবে অনেকেই সংসারের জোয়াল ঠেলতে পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছেন। সেরকমই পুরনো অলাভজনক ব্যাবসায় তালা ঝুলিয়ে লাভজনক ব্যবসার দিকে ঝুঁকেছেন অনেক ব্যাবসায়ীরাই। এমনকী, ঢেলে বিনিয়োগও করেছেন। এমনটাই জানা গিয়েছে কেন্দ্রের কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের তথ্যে।
সেখানে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য উঠে এসেছে। মে মাসে পরিসংখ্যান থিতিয়ে গেলেও শুধু জুন মাসেই ১৬ হাজার ৬০০-রও বেশি নতুন সংস্থা নথিভুক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ১২ হাজার ৭২২ একেবারে নতুন সংস্থা রয়েছে এবং ৩ হাজার ৯৪০টি লিমিটেড পার্টনারশিপ ফার্ম রয়েছে। ১-২ মাসের মধ্যে এই হার বেড়ে বার্ষিক ২৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যেখানে ২০২০ সালে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ব্যবসা নথিভুক্তিকরণের গোটা প্রক্রিয়া।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যেহেতু এখন দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট কমেছে, তাই ব্যবসায়ীরা নিজেদের পছন্দসই ব্যবসার নথিভুক্তিকরণের প্রক্রিয়া দ্রুত সেরে ফেলতে চাইছেন।
এতে খুশির হাওয়া বইছে কর্মী মহলে। তাঁদের মতে, লকডাউনে কাজ হারিয়ে অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। যত নতুন সংস্থা বাড়বে, ততই কাজের সুযোগও বাড়বে। এছাড়াও দেশের নুইয়ে পড়া অর্থনীতি কিছুটা চাঙ্গাও হবে বলে আশাবাদী বণিক মহলও।
দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞাগুলির জন্য যেহেতু মে মাসে বিক্রিভাটা তলানিতে ঠেকেছিল। সেকারণে জুনে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) সংগ্রহের ক্ষেত্রে ক্ষতির মুখ দেখেছে আয়কর দফতরও।
চলতি মাসের শুরুতে যে তথ্য প্রকাশ করেছিল আয়কর দফতর, তাতে টানা ৮ মাস স্থিতিশীল থাকার পর জুনের জিএসটি সংগ্রহ ১ লক্ষ কোটি টাকার নীচে নেমে গিয়েছে।