দ্রুত বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারাদেশে বহু ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠিত হয়েছে। যার উদ্দেশ্যেই হল দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা। তবে পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ থেকে গত বছরের শেষ পর্যন্ত মাত্র অর্ধেক পসকো মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। ইন্ডিয়া চাইল্ড প্রটেকশন নামে একটি সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে ৪,১৬,৬৩৮টি ধর্ষণ এবং পকসো মামলার মধ্যে ২,১৪,৪৬৩ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে যা প্রায় ৫২ শতাংশ। আর এর মধ্যে দু লাখেরও বেশি মামলা এখনও জমে রয়েছে।
আরও পড়ুন: মোদীকে দিদি চিঠি লিখতেই ফ্রন্টফুটে মালব্য, ফাস্টট্র্যাক কোর্ট নিয়ে প্রশ্ন
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই সমস্ত জমে থাকা মামলাগুলি এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে গেলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫৫৪ করে মামলার রায় দিতে হবে। অর্থাৎ প্রতি মিনিটে তিনটি করে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। তবেই এক বছরের মধ্যে এই সব মামলা নিষ্পত্তি করা যাবে। প্রসঙ্গত, ভারতে বর্তমানে ৪১০ টি পকসো আদালত ও ৭৫৫ টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট রয়েছে। যার মধ্যে চালু রয়েছে ১০২৩ টি কোর্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে মামলার নিষ্পত্তির যে গতি তাতে প্রতি বছর ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে ৭৬,৩১৯ টি মামলার নিষ্পত্তির হারে কোনও নতুন মামলা যুক্ত না হলে জমে থাকা মামলাগুলির রায় দিতে সময় লেগে যাবে আরও তিন বছর। এই অবস্থায় দেশে আরও বেশি সংখ্যায় ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্রুত মামলার নিষ্পত্তির জন্য বাকি ২৬৮ টি ফাস্ট ট্র্যাক গঠনের পাশাপাশি ১০০০টি নতুন আদালত তৈরি করতে হবে। এছাড়াও ধর্ষণের মামলার বিচার চার্জশিট দাখিলের দুই মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে এবং পকসো মামলায় এক বছরের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে।
প্রতিবেদনে অনুযায়ী, প্রতি বছর ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে মামলার সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিচারাধীন মামলাগুলি দ্রুত নিষ্পত্তির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। অন্যদিকে, এই সমস্ত আদালতগুলিতে ধর্ষণ এবং পকসো মামলায় বেকসুর খালাস এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। তাই এই সমস্ত তথ্য ড্যাশবোর্ডে নিয়মিত প্রকাশ করতে হবে বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রতিদবেদনে।