কেন্দ্রীয় সরকারের আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনস্ত বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থায় অর্ধেকেরও বেশি পদ ফাঁকা হয়ে পড়ে রয়েছে! রাজ্যসভায় এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের রাষ্ট্র মন্ত্রী তোখন সাহু।
তাঁর পেশ করা তথ্য অনুসারে, গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই মন্ত্রকের অধীনস্ত ২৬,৫৭৪টি অনুমোদিত পদের মধ্যে ১৪,০০৯টিই খালি পড়ে রয়েছে। শতাংশের হিসাবে যা হল - মোট আসনের অর্ধেকেরও বেশি - প্রায় ৫৩ শতাংশ।
যে-যে পদগুলি এক্ষেত্রে ফাঁকা বা খালি রয়েছে, তার মধ্য়ে রয়েছে - নিচুতলার অফিসার, বিভিন্ন স্বতন্ত্র আধিকারিক এবং একাধিক পাবলিক সেক্টর ইউনিট - যার মধ্যে দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ডিডিএ) অন্যতম।
বস্তুত, এক্ষেত্রে ডিডিএ-তেই ফাঁকা বা শূন্য পদের সংখ্যা সর্বাধিক। তাদের মোট ১২,৯৩২টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। যার মধ্যে ১০,০৩০টি পদই ফাঁকা রয়ে গিয়েছে। শতাংশের হিসাব পরিমাণটা হল - ৭৭.৫৫।
ফাঁকা থাকা পদের নিরিখে এই তালিকায় দ্বিতীয় নামটি হল - সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টেমেন্ট (সিপিডাব্লিউডি)। তাদের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৯,৭০৩ হলেও, তার মধ্যে ২,৬৭১টি আসনে বর্তমানে কোনও কর্মী বা আধিকারিক নিযুক্ত নেই।
যদিও এর উলটো পরিস্থিতিও রয়েছে। কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের অধীনে এমন কিছু সরকারি সংস্থা বা বিভাগও রয়েছে, যেখানে সবক'টি পদই পূর্ণ রয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে - হিন্দুস্তান প্রিফ্যাভ লিমিটেড, ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ হাউজিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া এবং রাজঘাট সমাধি কমিটি।
কেন্দ্রীয় সরকারের আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনে মোট কতগুলি অনুমোদিত পদ রয়েছে, এবং তার মধ্যে কতগুলি পদ ফাঁকা রয়েছে, রাজ্যসভায় সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন সিপিআই সাংসদ ভি শিবদাসন।
সাংসদের সেই প্রশ্নের জবাবে বুধবার সাহু তাঁর মন্ত্রকের মোট ২০টি সংস্থার চলতি বছর এবং গত পাঁচ বছরের মোট অনুমোদিত পদ এবং ফাঁকা পদ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেশ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং রাজ্য়সভায় জানিয়েছিলেন, সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত মন্ত্রকের অধীনে সব মিলিয়ে মোট ৯,৭৯,০০০ পদ শূন্য বা ফাঁকা ছিল।
এছাড়াও, অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার জানান, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের শেষ দিন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মোট ৫,১৮২টি শিক্ষক পদ ফাঁকা রয়ে গিয়েছে।