গত বুধবার তামিলনাড়ুর কুন্নুরে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারান চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী ছাড়াও আরও ১১ জন৷ প্রাথমিক ভাবে তাঁদের মধ্যে মাত্র তিনজনের দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছিল৷ বিধ্বংসী আগুনে কপ্টার সাওয়ারীদের দেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছিল যে ডিএনএ শনাক্তকরণের প্রয়োজন দেখা দেয়৷ এই আবহে সিডিএস, তাঁর স্ত্রী এবং ব্রিগেডিয়ার লিড্ডির দেহই শনাক্ত করা গিয়েছিল৷ গতকাল তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় দিল্লিতে৷ এরপর সেনার তরফে জানানো হয় যে হেলিকপ্টারে থাকা বায়ুসেনার ৪ সাওয়ারি এবং সেনার দুই জওয়ানের দেহও শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে শেষমেষ৷
জানা গিয়েছে, তাঁদের দেহ শনিবার সকালে তাঁদের পরিবারে হাতে তুলে দেওয়া হবে৷ দিল্লি থেকে আকাশপথে তাঁদের বাড়িতে দেহ পাঠানো হবে৷ সেখানে সেনা এবং বায়ুসেনার তরফে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে৷ ইতিমধ্যেই উইং কমান্ডার পি এস চৌহানের দেহ আগ্রায় পৌঁছায়৷ তাঁর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে৷ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রয়াত বায়ুসেনার অফিসারের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন৷
তাছাড়া মৃতদের মধ্যে রয়েছেন জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আরাক্কাল প্রদীপ, তাঁর বাড়ি সুলুরে; স্কোয়াডর্ন লিডার কুলদীপ সিং, তাঁর বাড়ি পিলানিতে; জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার রাণা প্রতাপ দাস, তাঁর বাড়ি ভুবনেশ্বরে; ল্যান্সনায়েক বি সাই তেজা, তাঁর বাড়ি বেঙ্গালুরুতে; ল্যান্সনায়েক বিবেক কুমার, তাঁর বাড়ি হিমাচল প্রদেশের গাগ্গলে ৷
প্রসঙ্গত, গত 8 ডিসেম্বর সুলুর থেকে ওয়েলিংটন যাওয়ার পথে ভারতের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত এবং সেনা ও বায়ুসেনার জওয়ান নিয়ে কপ্টার ভেঙে পড়ে কুন্নুরের নীলগিরির জঙ্গলে৷ সেই ঘটনায় জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং তাঁর স্ত্রী সহ মোট ১৩ জন মারা যান৷