সাব-সাহারান আফ্রিকার শিশুদের জন্য বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO)। এই টিকার নাম RTS, S/AS01 (RTS, S) বা পোশাকি নাম Mosquirix ।
WHO জানিয়েছে, টিকাটি প্রখ্যাত ব্রিটিশ ফার্মা সংস্থা গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (GSK)-এর ৩০ বছরের গবেষণার ফল। আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংগঠন 'প্রোগ্রাম ফর অ্যাপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজি ইন হেলথ' (PATH) এবং আফ্রিকার বেশ কিছু গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে এ বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করেছে GSK ।
টিকাটি যদিও এর আগেই নিরাপত্তার ছাড়পত্র পেয়েছিল। ২০১৯ সালে পাইলট দেশ হিসাবে ঘানা, কেনিয়া এবং মালাউইতে টিকাকরণ শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে ম্যালেরিয়ার টিকা পায় প্রায় ৮ লক্ষ শিশু। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৩ লক্ষ শিশুকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে। এই বিপুল ডেটা থেকেই মিলেছে ইতিবাচক ফলাফল। সেই কারণেই আফ্রিকায় ম্যালেরিয়াপ্রবণ দেশগুলি জুড়ে আরও দ্রুত টিকাকরণের সুপারিশ করেছে WHO ।
WHO-র কথায়, তিনটি দেশের(ঘানা, কেনিয়া এবং মালাউই) দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি শিশু ভ্যাকসিন থেকে উপকৃত হয়েছে। সিভিয়ার ম্যালেরিয়ার কেস ৩০% হ্রাস পেয়েছে।
'নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী'
WHO-র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইয়াসুস জানান , 'এই টিকা নিরাপদ। তাছাড়া এটি ম্যালেরিয়া বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যাওয়া আটকে দিতে সক্ষম। অন্যদিকে দামও সাধ্যের মধ্যে।'
ডোজ
WHO-র মতে, 'পাঁচ মাস বয়স থেকে শিশুদের চারটি ডোজের মাধ্যমে ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।' ম্যালেরিয়া একটি প্রাণঘাতী রোগ যা পরজীবী দ্বারা সংক্রামিত হয়। সংক্রামিত মহিলা অ্যানোফিলিস মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধে। এটি প্রতিরোধযোগ্য এবং নিরাময়যোগ্য।
পরিসংখ্যান বলছে, ম্যালেরিয়া সাব-সাহারান আফ্রিকায় শৈশবকালীন অসুস্থতা এবং মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। পাঁচ বছরের কম বয়সেই ২,৬০,০০০-এরও বেশি আফ্রিকান শিশু প্রতি বছর এই রোগে মারা যায়।