বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > আফ্রিকায় ম্যালেরিয়া প্রাদুর্ভাবে ‘আক্রমণাত্মক' প্রজাতির মশা

আফ্রিকায় ম্যালেরিয়া প্রাদুর্ভাবে ‘আক্রমণাত্মক' প্রজাতির মশা

আফ্রিকায় ম্যালেরিয়া প্রাদুর্ভাবে ‘আক্রমণাত্মক' প্রজাতির মশা

বিজ্ঞানীদের মতে, এ বছর ইথেওপিয়াতে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাবের পেছনেও এই মশাই দায়ী৷ দেশটির ডায়ার দাওয়া শহরে হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়৷ ২০২২ সালের প্রথম ৫ মাসে যার সংখ্যা দাঁড়ায় দুই হাজার ৪০০, যা ২০১৯ সালে ছিল মাত্র ২০৫৷

আফ্রিকায় নতুনভাবে ছড়িয়ে পড়া ম্যালেরিয়া রোগের সঙ্গে গবেষকেরা এক ধরনের মশার যোগসূত্র পেয়েছে যারা বেশ আক্রমণাত্মক৷ এই প্রজাতির মশা শহরাঞ্চলে বৃদ্ধি পায় এবং ম্যালেরিয়া রোগ সম্পূর্ণভাবে নির্মূলে ক্ষেত্রে বড় এক হুমকি৷

বিজ্ঞানীদের মতে, এ বছর ইথেওপিয়াতে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাবের পেছনেও এই মশাই দায়ী৷ দেশটির ডায়ার দাওয়া শহরে হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়৷ ২০২২ সালের প্রথম ৫ মাসে যার সংখ্যা দাঁড়ায় দুই হাজার ৪০০, যা ২০১৯ সালে ছিল মাত্র ২০৫৷

একজন বিজ্ঞানী গবেষণা করে বের করেছেন যে, ‘অ্যানোফিলিস স্টিফেনসি' প্রজাতির মশা ম্যালেরিয়া ছড়াচ্ছে৷ এ ধরনের মশা সাধারণত ইন্ডিয়া ও ইরানে দেখা যায়৷ তবে ২০১২ সালে জিবুতিতে এর সন্ধান মেলে৷ পরবর্তীতে, প্রতিবেশী ইথেওপিয়া, সুদান, সোমালিয়া ও নাইজেরিয়াতেও এই প্রজাতির মশা পাওয়া যায়৷

এই প্রজাতির মশা কেন অনন্য?

নেটিভ আফ্রিকান মশা সাধারণত গ্রামীণ পরিবেশ পছন্দ করে কিন্তু আক্রমণাত্মক অ্যানোফিলিস স্টিফেনসি দূষিত শহরগুলিতে ছড়ায়৷ এই প্রজাতির মশা বালতি এবং খোলা পানির ট্যাঙ্কেও বংশ বৃদ্ধি করতে পারে৷ এর মানে হল, এটি শুষ্ক মৌসুমে বেঁচে থাকতে পারে৷ আর যে কারনেই অ্যানোফিলিস স্টিফেনসি প্রজাতির মশা অনন্য৷

আফ্রিকান অন্য দেশগুলোও হুমকিতে

গবেষকদের আশঙ্কা, এই মশা আফ্রিকান দেশগুলোর জন্যেও হুমকি তৈরি করেছে৷ ২০২০ সালে পৃথিবীতে ম্যালেরিয়া রোগে যত মানুষের মৃত্যু ঘটে তার ৯৫ শতাংশ ঘটেছে ওই অঞ্চলে৷ ২০২০ সালে বিশ্বে ছয় লাখ ২৭ হাজার মানুষ এই রোগে মারা যায়৷ 'এটা খুবই আতঙ্কের', বলছিলেন একজন বিজ্ঞানী৷

বন্ধ করুন