মহারাষ্ট্রে পালঘরে দুজন সাধু সহ তিনজনকে যেভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তাই নিয়ে সরগরম রাজ্য সহ দেশের রাজনীতি।স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে ফোন করেছিলেন এই বিষয় খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন যে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে তবে এটি সাম্প্রদায়িক ঘটনা নয়। অন্যদিকে কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অধিকাংশই বিজেপির লোক।
উদ্ধব বলেন যে যারা এতে সাম্প্রদায়িক রং দিতে চাইছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে যারা এসব রটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে তিনি অমিত শাহকে অনুরোধ করেছেন। পালঘর থেকে ১১০ কলোমিটার দূরে গাচ্চিনচলে গ্রামে শিশুচোর সন্দেহে দুই সাধু ও তাদের ড্রাইভারকে গত ১৬ তারিখ পিটিয়ে মারে মানুষ। বারানসীর জুনা আখড়ার এই দুই সাধু গুজরাত যাচ্ছিলেন।
উদ্ধব বলেন যে পাঁচ প্রধান অভিযুক্ত সহ শতাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে থেকেও কিছু না করায় দুই পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে দেবেন্দ্র ফডণবীসের সময় রাজ্যে হওয়া নানান গণহত্যার কথা মনে করিয়ে দেন উদ্ধব, বিজেপির আক্রমণকে রোখার জন্য।
মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সচিন সাওয়ান্ত অভিযোগ করেছেন যে বিজেপি এই নিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে। সাওয়ান্ত বলেন যে গাচ্চিনচলে গ্রাম হল বিজেপির দূর্গ। গত দশ বছর ধরে ওই গ্রামে শুধু বিজেপির দাপট। গ্রামপ্রধানও বিজেপির। অধিকাংশ মানুষ যারা গ্রেফতার হয়েছেন এই গণহত্যার ঘটনায়, তারাও বিজেপির লোক বলে তিনি টুইটারে অভিযোগ করেন। এই ঘটনা নিয়ে যে সাম্প্রদায়িক প্রচার চলছে, তার তদন্তের দাবিও করেন তিনি।
তবে বিজেপি এই অভিযোগ খণ্ডণ করেছে। বিজেপি নেতা প্রবীন দারেকর বলেন যে ভাইরাল ভিডিওতে একজন কংগ্রেস জেলা পরিষদ সদস্যকেও দেখা যাচ্ছে। তাহলে কী বলা হবে কংগ্রেস এই ঘটনার পিছনে ?