স্বাধীনতা দিবসের আগেই বড়সড় সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ। এনআইএ’র মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা এক আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। ধৃতের নাম রিজওয়ান আলি। ধৃত দিল্লির দরিয়াগঞ্জের বাসিন্দা। একাধিক সন্ত্রাসমূলক কাজে জড়িত থাকার জন্য তাকে ৮ মাস ধরে গ্রেফতার করার চেষ্টা করছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তার মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৩ লক্ষ টাকা। দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল শুক্রবার ভোররাতে দিল্লি-ফরিদাবাদ সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে ধৃত ISIS জঙ্গির ডেরা থেকে উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক, আত্মঘাতী জ্যাকেট
জানা গিয়েছে, রিজওয়ান পুনেতে আইএসআইএস মডিউলের সদস্য ছিল। এই মডিউলটি মূলত বিস্ফোরক প্রস্তুত করে স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। দিল্লির বিশেষ কমিশনার আরপি উপাধ্যায় রিজওয়ানের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রিজওয়ান এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পলাতক ছিল। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য তার মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ৩ লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় মডিউলের সদস্য হিসেবে আরও যারা পলাতক রয়েছে তাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দিল্লির তিন যুবক কেন্দ্রীয় সংস্থার মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় স্থান পেয়েছিল। তাদের মধ্যে শাহনওয়াজ নামে এক যুবককে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার গ্রেফতার হয়েছে রিজওয়ান। তৃতীয়জন- আবদুল্লাহ ওরফে ডায়পারওয়ালা এখনও পলাতক।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গ্রেফতারি এড়াতে রিজওয়ান কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করত। কয়েক মাস আগে উত্তরপ্রদেশের সম্বলে ছিল রিজওয়ান। পরে হায়দরাবাদ ও কেরালায় আত্মগোপন করে। এর আগে গত ২ অক্টোবর শাহনওয়াজকে দক্ষিণ দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে রিজওয়ান পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৮ অগস্ট রিজওয়ানকে গ্রেফতারে একটি বিশেষ দল তৈরি করা হয়। দুপক্ষের গুলি বিনিময়ের পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন তদন্তকারীরা। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও একটি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে । তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত রিজওয়ান একজন আইএসআইএস জঙ্গির সংস্পর্শে আসে। তারপর আইএসআইএস মতাদর্শে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে।