অত্যন্ত উদ্বেগের ঘটনা। ডাক্তার হওয়ার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে চান ১৬ বছর বয়সি এক ছাত্রী। সেকারণে তিনি রাজস্থানের কোটাতে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন। আর সেখানে গিয়েই তিনি এবার সন্তানের জন্ম দিলেন। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, তিনি কোটাতে একটি হস্টেলে থাকতেন। আসলে তার বাড়ি মধ্যপ্রদেশের গুনাতে। তিনি মাস দুয়েক ধরে কোটাতে থাকছিলেন। সেখানেই তিনি মেডিক্যাল পরীক্ষাতে বসার ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আর সেখানেই এবার মা হলেন তিনি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে মা হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
সোমবার সকালে তাঁর প্রচন্ড প্রসব বেদনা শুরু হয়। এরপর তাকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে ওই নাবালিকাকে পরীক্ষা করে চিকিৎকরা জানতে পারেন তিনি সাড়ে আটমাসের গর্ভবতী।আর দেরি করেননি চিকিৎসকরা। তাকে এরপর লেবার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি বাচ্চা প্রসব করেন। তার বাচ্চার ওজন ২ কেজি ৩০০ গ্রাম।
তবে মা ও শিশু আপাতত সুস্থ রয়েছে বলে খবর। তবে মায়ের কিছুটা রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। এদিকে প্রথমদিকে বিষয়টি জানা যায়নি। কারণ নাবালিকার সন্তান প্রসব নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি। এরপর ধীরে ধীরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তবে শিশুটিকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে কথাবার্তা হয়। কিন্তু নাবালিকার মা বিষয়টি মানতে চাননি।
তবে শেষ পর্যন্ত শিশু সুরক্ষা কমিটির লোকজন বিষয়টি অভিভাবক দের বুঝিয়েছেন। তারা এরপর শিশুটিকে দিতে চেয়েছেন।
এদিকে মাস দুয়েক হল তিনি কোটাতে এসেছিলেন। সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে তিনি যখন বাড়িতে ছিলেন তখনই তিনি কারোর সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হয়েছিলেন। বা তাঁর সঙ্গে কারোর যৌন সংসর্গ হয়েছিল। তার জেরেই তিনি গর্ভবতী পড়েন।
তবে সূত্রের খবর, তিনি যে গর্ভবতী এটা কেউ জানতেন। তবে এত কিছুর পরেও ওই নাবালিকা চান তিনি নিটের প্রশিক্ষণ নিতে চান। সেই মতোই তিনি ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।