স্বাধীনতার সাড়ে সাত দশক পর আজও উন্নয়ন ভারতের প্রতিটি কোণা ছুঁতে পারেনি। আর তারই এক ভয়ঙ্কর নিদর্শন সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যাতে দেখা গিয়েছে, সন্তান জন্ম দেওয়ার পর সদ্য মা হওয়া এক অসুস্থ আদিবাসী যুবতীকে বাঁশ ও কাপড়ের স্ট্রেচারে চাপিয়ে ৩ কিলোমিটার হেঁটে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সঙ্গে তাঁর সন্তানকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওযা হয়। ঘটনাটি বিশাখাপত্তনামের। তবে মর্মান্তিক বিষয় হল, হাসপাতালে পৌঁছলে চিকিৎসকরা সদ্যোজাতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। (আরও পড়ুন: বার্ড ফ্লু-তে মৃত কয়েকশো মুরগি, চিকেন খাওয়া নিয়ে শতর্ক করল সরকার)
জানা গিয়েছে, বিশাখাপত্তনমের বাসিন্দা কে কমলা। সেই যুবতী গর্ভবতী ছিলেন এবং বাড়িতেই প্রসব করেন। তবে প্রসবের পর আচমকাই অসুস্থ বোধ করেন কমলা। তখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত ওই অবস্থায় কমলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সদস্যরাই। জঙ্গল ডিঙিয়ে বাঁশের স্ট্রেচারে করে সদ্য মা হওয়া কমলা ও তাঁর সন্তানকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। মোট ৩ কিলোমিটার হেঁটে হাসপাতালে পৌঁছান তাঁরা। অভিযোগ, তাঁদের গ্রামের সঙ্গে বড় রাস্তার কোনও যোগাযোগ নেই। এই আবহে স্থানীয়দের ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে সরকার ও প্রশাসনের ওপর।
আরও পড়ুন: চলতি শিক্ষাবর্ষেই বদলাবে নিয়ম, বাংলায় একই পোর্টাল থেকে ভরতি হওয়া যাবে কলেজে
এদিকে মা ও সদ্যোজাতকে হাসাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত ছোট্ট শিশুটিকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা। যার জেরে ক্ষোভ আরও বেড়েছে। সম্প্রতি বিশাখাপত্তনম শহরকে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী ঘোষণা করা হয়েছে। বিশাখাপত্তনম জেলার সদরদফতর এই শহর। এই আবহে রাজ্যের রাজধানীর পার্শ্বর্তী অঞ্চলে এমন ঘটনায় হতবাক অনেকেই। একটা রাজ্য রাজধানীর পাশের গ্রামে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও কেন রাস্তা পৌঁছায়নি তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই আবহে এলাকায় বড় রাস্তার দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় জনতা। এদিকে সন্তান হারানো যুবতী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁকে সুস্থ করে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা।