দু'বছর আগে কোভিডে বাবাকে হারিয়েছিলেন। আর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে কিছুদিন আগেই মারা গিয়েছেন মা। অনেক কষ্ট করে টাকা জমিয়ে একটি স্কুটি কিনেছিলেন যুবকের মা। মৃত্যুর পর সেটাই ছিল যুবকদের কাছে তার মায়ের স্মৃতি হিসেবে শেষ সম্বল। কিন্তু, আচমকা চুরি হয়ে যায় সেই স্কুটিটি। তা নিয়ে কার্যত হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন যুবক। থানা পুলিশ করেও খুঁজে পাওয়া যায়নি স্কুটিটি। এবার চোরের কাছ থেকে সেই স্কুটি ফিরে পেতে সোশ্যাল মাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট করলেন ওই যুবক। তিনি অবিলম্বে চোরের কাছে পুরনো স্কুটিটি ফিরিয়ে দেওয়ার কাতর আর্জি জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মায়ের স্কুটি ফিরিয়ে দিলে তার বদলে তিনি চোরকে নতুন স্কুটি কিনে দেবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যুবকের এই আবেগঘন পোস্ট মন জয় করে নিয়েছে নেটিজেনদের। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের কোথরুদ এলাকার।
আরও পড়ুন: অফিস-বাজার থেকে হত চুরি, আলিপুরদুয়ারে ২২ চোরাই বাইক উদ্ধার, ধৃত ২
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম অভয় চৌগুলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগপূর্ণ পোস্টে তিনি চোরের উদ্দেশ্যে এমনই আর্জি জানিয়েছেন। যুবকের এই পোস্ট ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, তাঁর কালো অ্যাক্টিভাটি দশেরার দিন ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের মূর্তির কাছে কোথরুদ এলাকা থেকে চুরি হয়েছিল। এরপর তিনি আশেপাশে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খুঁজে বেড়ান এবং পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও সেটি উদ্ধার হয়নি। চৌগুলে জানান, যে স্কুটিটি মৃত্যুর আগে তার মা কিনেছিলেন। এটির সঙ্গে তাঁর মায়ের স্মৃতি এবং অনেক আবেগ জড়িত রয়েছে।
চৌগুলে মরাঠি ভাষায় সোশ্যাল মাধ্যমে বাবা মায়ের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে বলেছেন যে তার কালো অ্যাক্টিভা দশেরার দিনে চুরি হয়েছিল এবং এটি তার মায়ের শেষ স্মৃতি হিসাবে ছিল তার কাছে।এছাড়াও তিনি ফোন নম্বর এবং ইনস্টাগ্রাম আইডি শেয়ার করেন নিজের পোস্টে। চৌগুলে পোস্টটির ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘দয়া করে আমার কালো স্কুটিটি আমাকে ফিরে পেতে সাহায্য করুন।’ তিনি কেউ এই স্কুটির খোঁজ পেলেই যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
মুহূর্তে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে তার পোষ্টটি। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। তিনি যেন স্কুটি ফিরে পান সেবিষয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং আশা জাগিয়েছেন যে পুলিশ চুরি হওয়া টু-হুইলারটি অবশ্যই উদ্ধার করবে। চৌগুলে তাঁর পোস্টের দ্বিতীয় অংশে চোরকে সরাসরি সম্বোধন করেছেন। তাঁর স্কুটি ফেরত দেওয়ার আবেদন করেছেন। তিনি লিখেছেন, যে তাঁর মা অনেক পরিশ্রমের পরে অ্যাক্টিভাটি কিনেছিলেন এবং জোর দিয়েছেন যে এটি তাঁর শেষ স্মৃতি হিসাবে অত্যন্ত আবেগপূর্ণ মূল্য রাখে।