এর আগে ২০১৯ সালে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, নেপালের মাকালুর কাছে তাদের টিম অস্বাভাবিক পায়ের ছাপ দেখেছে। তাঁরা দাবি করেছিলেন মাকালু বরুণ ন্যাশানাল পার্কের কাছে বড় আকারের পায়ের ছাপ তারা দেখেছেন। পায়ের আকৃতি ছিল ৩২x ১৫ ইঞ্চি।
তবে এবার বাঙালি পর্বাতোরোহীদের দাবি তাঁরাও পাহাড়ে বরফের উপর অস্বাভাবিক বড় পায়ের ছাপ দেখেছেন। তবে সেই পায়ের আকৃতি প্রায় সাড়ে সাত ইঞ্চি লম্বা আর সাড়ে ছয় ইঞ্চি চওড়া।
হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট মাউন্টেনার্স অ্য়ান্ড ট্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন ও হিমালয়ান অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান হয়েছিল। হিমাচল প্রদেশের ইন্দ্রাসন শৃঙ্গে পৌঁছে ছিলেন অভিযাত্রীরা। প্রায় ৬ হাজার ২২১ মিটার উচ্চতায় এই শৃঙ্গ। এরপর তাঁরা দেওটিব্বা শৃঙ্গতেও যান। এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী মলয় মুখোপাধ্য়ায় ও দেবাশিস বিশ্বাস এই টিমে ছিলেন।
এদিকে দেবাশিস বিশ্বাস ও তাঁর টিমের সদস্যদের দাবি, দেওটিব্বাতে যাওয়ার সময় ক্যাম্প ওয়ান থেকে ২তে যাওয়ার সময় বরফের উপর বিশাল আকৃতির পায়ের ছাপ তারা দেখেন। সেই ছবি তারা ক্যামেরাবন্দি করেন। কিন্তু এগুলি কাদের পায়ের ছাপ তারা বুঝতে পারেননি। তবে শেরপাদের দেখালে তারা বলেন এগুলি ভাল্লুকের পায়ের ছাপ।
তবে সেনাদের তরফে ২০১৯ সালে যখন এই ধরনের বিরাট পায়ের ছাপ দেখানো হয়েছিল তখনও বলা হয়েছিল এগুলি ভাল্লুকের পায়ের ছাপ। কিন্তু এখানেই অনেকের প্রশ্ন, অত উঁচুতে খাবার কিছু নেই। সেক্ষেত্রে ভাল্লুকরা কি সেখানে থাকবে?
তবে ফেরার সময় ওই পায়ের ছাপ আর দেখা যায়নি। তুষারপাতের কারণে সম্ভবত তা ঢেকে যায়।
কিন্তু এবার প্রশ্ন এই পায়ের ছাপ আসলে কীসের?
তবে কি গল্পের ইয়েতির পায়ের ছাপ সত্যিই দেখলেন পর্বতারোহীরা? তুষারমানব কি ঘুরছে পাহাড়ের আড়ালে? নাকি অন্য কোনও প্রাণীর পায়ের ছাপ?
এনিয়ে পর্বতারোহীদের মধ্যেও নানা চর্চা চলছে। এই পায়ের ছাপ আসলে কাদের?
ইয়েতি আছে কি নেই সেই প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি। আজও রহস্যময় তুষার মানব। তবে গল্পে সিনেমায় তারা থাকে। কিন্তু বাস্তবে এগুলি কাদের পায়ের ছাপ তা নিয়ে নানা চর্চা।
হয়তো এনিয়ে সঠিক উত্তর কোনওদিনও মিলবে না। তবে পাহাড়ে চড়ার টানে বার বারই ছুটে যান পর্বতারোহীরা। আর পাহাড় রহস্যে মোড়া। নির্জন। তার মাঝেই বরফের উপর একের পর এক পায়ের ছাপ। কে হেঁটে গেল?