নয়াদিল্লি যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ভেবেছিল শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে কিছু নেতানেত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু যখনই খবর চাউর হলো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর আগে রাজধানীতে এসে পৌঁছচ্ছেন তখন তাঁদের টনক নড়ল। চলতি মাসের ২৫ তারিখ মমতার রাজধানী যাওয়ার কথা রয়েছে। তাঁর আগেই নয়াদিল্লি পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সূত্রের খবর, ২১ জুলাই শহিদ দিবস কর্মসূচি সেরেই, ২২ তারিখ রাজধানীতে পৌঁছে যাবেন অভিষেক। প্রশান্ত কিশোরের পর তাঁর এই আগমন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তিনি এখানে যে ঘুঁটি সাজাবেন তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই। সেটাই পরখ করে দেখবেন বাংলার নেত্রী। সুতরাং এবারের নয়াদিল্লি সফর মোটেই শুধু সৌজন্য সাক্ষাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
বাংলায় হ্যাট্রিক করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই জয়ের নেপথ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন ছিলেন প্রধান কারিগর, তেমনি অভিষেক ছিলেন রীতিমতো সেনাপতির ভূমিকায়। আর পেছন থেকে খেলেছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে বসেন অভিষেক। সেই পদে বসার পর প্রথম নয়াদিল্লি যাচ্ছেন অভিষেক। সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
এমনকী লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে পেট্রোল–ডিজেলের বিরুদ্ধে সরব হতে চলেছে। তাতে নেতৃত্ব দেবেন অভিষেক। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগে পৌঁছে রাজনৈতিক ঘুঁটি সাজাবেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। বিজেপি বিরোধী নেতাদের বেশ কয়েক জনের সঙ্গে বৈঠকও করতে পারেন অভিষেক। ২০২৪ সালের লক্ষ্যে এখন থেকেই সলতে পাকাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই পথ তৈরি করবেন অভিষেক। সুতরাং মোদী–শাহের নাকের ডগায় তৈরি হতে চলেছে তাঁদেরই বধ করার কৌশল।