কাশির সিরাপে মৃত্যুর পরেই এবার তামিলনাডু সরকার হানা দিল এক স্থানীয়সিরাপ প্রস্তুতকারী সংস্থার কারখানায়। সেখানেই দেখা গেল বুকে কাঁপুনি ধরানো দৃশ্য। খুদে খুদে বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য কাফ সিরাপ তৈরি হচ্ছে চরম অবহেলায়। যে পদ্ধতিতে সিরাপ তৈরি হচ্ছে, তা রীতিমতো অবাক করেছেন সরকারি আধিকারিকদেরও।
কীভাবে তৈরি হচ্ছে কাশির সিরাপ?
কাশির সিরাপ তৈরির একটি মূল উপাদান হল প্রপিলিন গ্লাইকল। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ প্রশাসন সূত্রে প্রাপ্ত খবর, স্রেসান নামের ওই সংস্থা রাসায়নিকটি স্থানীয় রাসায়নিক দ্রব্য সরবরাহকারীর থেকেই কেনে। আর কেনে রঙের দোকান থেকে। গ্যাস স্টোভের উপরেই রাসায়নিক দ্রব্যগুলির মিশ্রণ হয়। মিশ্রণের সময় কোনও প্রশিক্ষিত শ্রমিক থাকে না। মাস্ক ও গ্লাভস ছাড়াই সব কাজ করা হয়। জং ধরা পাত্রেই চরম অবহেলায় তৈরি হয় শিশুদের কাশি সারানোর ওষুধ।
রঙের কারখানা থেকে কেনা হয় কাঁচামাল
মধ্যপ্রদেশের ঘটনার পরেই তামিলনাড়ুর ঔষধ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ সতর্ক হয়। ১ এবং ২ অক্টোবর কাঞ্চিপুরমের ওই কারখানায় হানা দেয় সরকারি আধিকারিকরা। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কোল্ডরিফ তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলি নগদ অর্থে চেন্নাইয়ের স্থানীয় ডিলার সানরাইজ বায়োটেক এবং পান্ডিয়া কেমিক্যালসের কাছ থেকে কেনা হয়েছিল। গুগল পে-এর মাধ্যমে টাকার লেনদেন হয় যাতে এর হদিশ না পাওয়া যায়। কোনও পরীক্ষানিরীক্ষা না করেই স্থানীয় রঙের কারখানা থেকেও কেনা হত ওষুধ বানানোর উপাদান।
আরও পড়ুন - সবচেয়ে স্বচ্ছ ভোট বিহারে! দেশব্যাপী বাস্তবায়নে ১৭টি নয়া উদ্যোগ, বড় দাবি EC-র
আরও পড়ুন - Op সিঁদুরে দুরমুশ!F-16 বিমান সারাতে পাকিস্তানে মার্কিন বায়ুসেনা,বিস্ফোরক রিপোর্ট
নির্দিষ্ট সীমার থেকে ৫০০ গুণ বেশি রাসায়নিক
সরকারি পরিদর্শকদের রিপোর্ট মোতাবেক, মুদ্রণ কালি, আঠা, ব্রেক ফ্লুইড এবং লুব্রিকেন্ট তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ডাইথাইলিন গ্লাইকল। এটি কিডনি, লিভার এবং স্নায়ুতন্ত্রের গুরুতর ক্ষতি করতে পারে। কোনও পরীক্ষা ছাড়াই সেই দ্রব্যগুলি ওই সিরাপ প্রস্তুতকারী সংস্থা কেনে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ওষুধের গুণমান পরীক্ষা করানোর জন্য কোনও প্রশিক্ষিত আধিকারিকও নেই ওই সংস্থার। পরে পরীক্ষা করে দেখা যায়, কোল্ডরিফের SR-13 ব্যাচে ৪৮.৬ শতাংশ ডাইথাইলিন গ্লাইকল রয়েছে, যা অনুমোদিত সীমার প্রায় ৫০০ গুণ বেশি।