আস্থাভোটের আগেই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলেন মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্যপালকে তিনি ইস্তফাপত্র দেবেন বলে জানিয়েছেন।
সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুপুরেই তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিতে রাজভবনে যাচ্ছেন। সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি নোংরা রাজনীতির খেলা খেলি না।'
কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলি নিজেদের কব্জায় আনতে মোক্ষম কৌশল প্রয়োগ করার বিষয়ে বিজেপির সাম্প্রতিক পদক্ষেপ রাজনীতির আঙিনায় শোরগোল ফেলে দিয়েছে। কয়েক মাস আগেই কর্নাটকে কংগ্রেসকে গদিচ্যুত করে কেন্দ্রের শাসকদল। তারপরে পদ্ম শিবিরের নজর পড়ে মধ্য প্রদেশের উপরে।
গত ১০ মার্চ দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি অখুশি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করলে সেই দিনই ইস্তফা দেন সিন্ধিয়া অনুগামী মধ্য প্রদেশের ২২ জন বিধায়ক। তার জেরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা উল্লেখযোগ্য হারে হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে যায় কমল নাথ সরকার।
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে কমল নাথ লিখিত বিবৃতি পাঠ করে জানান, তাঁর বিধায়কদের বেঙ্গালুরুতে আটক রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'একদিন সত্য প্রকাশ হবে। মানুষ ওদের ক্ষমা করবেন না।'
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, 'গত ১৫ মাসে একাধিক বার আমি সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছি। বিজেপি ১৫ বছর ধরে শাসন করছে, আমি মাত্র ১৫ মাস সময় পেয়েছি। একজন নেতার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ২২ জন বিধায়ককে বেঙ্গালুরু নিয়ে গিয়ে আটক করল বিজেপি।'
এ দিন দুপুর ২টোয় মধ্য প্রদেশ বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে কংগ্রেস সংসদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়। সেই অধিবেশনে আস্থাভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই ইস্তফা ঘোষণা করলেন কমল নাথ।
গতকাল রাতে বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন মধ্য প্রদেশ বিধানসভার অধ্যক্ষ নর্মদা প্রসাদ প্রজাপতি। এর ফলে আরও চাপে পড়ে যায় কমল নাথ সরকার। বিধানসভায় দলের দখলে থেকে যায় মাত্র ৯২টি আসন। মন্ত্রিসভা গড়তে যেখানে ন্যূনতম প্রয়োজন ১০৪টি আসনের। অন্য দিকে, সরকার গড়তে আসনসংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে এগোচ্ছে আশাবাদী বিজেপি।