বেআইনিভাবে পাখি পুষেছিলেন। সেটি পালিয়ে যেতে তার খোঁজে ১৫ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করলেন এক যুবক। রীতিমতো কাগজে ছেপে প্রচার করছেন মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের অমন সিং চৌহান।
গত ২ নভেম্বর তাঁর পোষা টিয়াপাখিটি পালায়। তিনি জানিয়েছেন, গত ২ বছর ধরে পাখিটি তাঁর কাছে ছিল। খাঁচার দরজা খুলে যাওয়ায় পাখিটি বারান্দায় বেরিয়ে আসে। তারপর গ্রিলের ফাঁক দিয়ে পালায় সে।
অমন বলছেন, 'বিট্টু' তাঁর সন্তানসম ছিল। তাই তার খোঁজ দিতে পারলে ১৫ হাজার টাকার পুরস্কারের ঘোষণা করেছেন। তিনি নিজেও আশেপাশের সমস্ত বাড়ি গিয়ে গিয়ে খোঁজ নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই কয়েকটি ফোনও পেয়েছেন। তবে গিয়ে দেখা গিয়েছে, সেই টিয়াপাখি তাঁর নয়। তবে এখনও আশাবাদী অমন।

বাড়িতে যে টিয়া রাখা হয়, তার প্রায় সবই ওয়াইল্ড কট। এভাবে পাখি ধরা ও এনে বিক্রির প্রক্রিয়ায় বহু পাখির মৃত্যু হয়। এর পাশাপাশি টিয়াপাখি খুবই সামাজিক প্রাণী। বড় দলে, পরিবারের সঙ্গে থাকে। নিজেদের মধ্যে ভাবের আদানপ্রদানও করে। রোজ বহু কিলোমিটার ওড়ে। শীতে স্থান পরিবর্তন করে। ভারতীয় বন্যপ্রাণ আইনে নেটিভ পাখি পোষা দণ্ডনীয় অপরাধ।
সবচেয়ে বড় কথা, খাঁচায় আটকে রাখা পাখিকে ফের প্রকৃতিতে ফেরানোও কঠিন। খালি খাঁচা খুলে দিলেই পুনর্বাসন হয় না। কলোনি, খাবারের উত্স ছাড়া একা একটি টিয়ার পক্ষে অচেনা স্থানে বেঁচে থাকা কঠিন।