সূত্রের খবর, ধৃত মাওবাদীরা যদি সংগঠনের গোপন খবর সরকারকে জানিয়ে দেন তবে একবছরের জন্য প্য়ারোলে ছাড়া হবে তাদের। এমনটাই পরিকল্পনা নিচ্ছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। মাওবাদী সহ অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যদের মুক্তি, পুনর্বাসন ও আত্মসমর্পণ নিয়ে বিশেষ পলিসি তৈরি করছে সরকার। মহারাষ্ট্র ও ছত্তিশগড়ের সীমান্ত এলাকায় মাওবাদীদের দাপট ক্রমেই বাড়ছে। সেকারণেই এবার একটু অন্য়রকমভাবে মাওবাদী দমনের কথা ভাবছে সরকার। কার্যত কাঁটা দিয়েই হবে কাঁটা তোলার কাজ। মাওবাদীদের নিকেশ করতে যারা গোপন খবর সরকারকে চালান করবে তারা টানা একবছরের জন্য় প্য়ারোলে মুক্তির স্বাদ পাবেন।
এক আধিকারিকের মতে, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, ঝাড়খন্ডে এই ধরনের প্যারোলে মুক্তির সুযোগ নেই। তবে মধ্য়প্রদেশে খুব শীঘ্রই এনিয়ে অনুমোদনের জন্য় মন্ত্রিসভায় পেশ করা হবে। নতুন এই পলিসিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শীর্ষ মাওবাদী নেতারা কোথায় ঘাঁটি গেড়েছে, তাদের পরিকল্পনা, তারা অর্থ সহায়তা কোথা থেকে পায়, তাদের অস্ত্র কারা দেয় এসব তথ্য জানাতে হবে। তারপরেই সাজাপ্রাপ্ত মাওবাদীরা একবছরের জন্য প্যারোলে মুক্তির সুযোগ পাবেন।
এদিকে রাজ্যসরকার এই প্যারোলে মুক্তি দিতে পারবে। এব্য়াপারে রাজ্য়ের স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে নির্দিষ্ট কমিটি রয়েছে। অন্যদিকে খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আত্মসমর্পণ করলে ৫ লাখ টাকা পুরষ্কার, ৩৬ মাস ধরে মাসিক ৬ হাজার টাকা ভাতা পাবেন মাওবাদীরা। বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য এই ভাতা দেওয়া হবে। অবিবাহিত মাওবাদীরা ২৫ হাজার টাকা পাবেন বিয়ের জন্য। এছাড়াও আয়ুস্মান ভারত স্কিমে স্বাস্থ্য বিমা ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর ও রেশন তারা পাবেন। এমনকী গোপনীয় সৈনিক পদে তিনি নিযুক্ত হতে পারবেন।