জটিল আবর্ত তৈরি হয়েছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। কারণ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে সময় চাইলেন সাংসদ শিশির অধিকারী। তাঁর ছেলে শুভেন্দু অধিকারী এখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। পাল্টা সংসদে শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের জন্য মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ তিনি অমিত শাহের সভায় যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু স্পিকারকে চিঠি দিয়ে সাংসদ সুনীল মণ্ডল সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসে আছি, তৃণমূল কংগ্রেসেই থাকব।’ ফলে সুনীলকে নিয়ে সমস্যা না হলেও শিশিরবাবুর অবস্থান স্পষ্ট করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, শিশিরবাবু সময় চাইলেন কেন? জানা গিয়েছে, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে সময় চেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শিশির অধিকারী। ওম বিড়লার কাছে তৃণমূল কংগ্রেস চিঠি দিয়ে এই সাংসদের রাজনৈতিক অবস্থান জানতে চেয়েছিল। অধ্যক্ষ বিষয়টি নিয়ে দুই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুনীল মণ্ডল এবং শিশির অধিকারীর কাছে জবাব তলব করেন। তখনই সময় চাইলেন কাঁথির সাংসদ।
লোকসভার স্পিকারের পক্ষ থেকে দুই সাংসদকে চিঠি পাঠানো হয়। জানতে চাওয়া হয় কোন দলে রয়েছেন? ১৫ দিনের মধ্যে উত্তর দিয়ে জানাতে বলা হয়। তার প্রেক্ষিতে স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিলেন সুনীল মণ্ডল এবং শিশির অধিকারী। তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে ওম বিড়লার কাছে চিঠি দিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের কথা উল্লেখ করেছিলেন। যেহেতু সুনীল মণ্ডল সরাসরি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং শিশির অধিকারীও বিজেপির মঞ্চে বিজেপির হয়ে প্রচার করেছেন তাই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ হিসাবে তাঁদের পদ খারিজের দাবি তোলে তৃণমূল কংগ্রেস।
ইতিমধ্যেই সুনীল মণ্ডল তাঁর নিরাপত্তা সরিয়ে নিতে চিঠি দিয়েছেন। তার উপর রাতের অন্ধকারে মুকুল রায়ের বাড়ি গিয়ে কথা বলেছেন। সংসদের ওয়েলে নেমে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন। বিমানবন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রণাম করে দলে ফেরার আর্জি জানিয়েছিলেন। এবার ওম বিড়লাকে উত্তর দিয়েছেন সুনীল মণ্ডল। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, তিনি বিজেপির সদস্য নন। বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করেননি। তৃণমূল কংগ্রেসে আছেন, তৃণমূল কংগ্রেসেই থাকবেন।