এবার সরকারি উদ্যোগে রামলীলার প্রচার শুরু হল মধ্যপ্রদেশে। বিশেষ করে উপজাতিদের মধ্যে ভগবান রামের মাহাত্ম্য তুলে ধরার জন্যই এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের সংস্কৃতি দফতরের পক্ষ থেকে রাজ্যের ৮৯টি উপজাতি ব্লকে এই প্রচারাভিযান চালানো হবে গোটা এপ্রিল মাস জুড়ে।
মধ্যপ্র্দেশ সরকারের প্রজেক্ট কো–অর্ডিনেটর অশোক মিশ্র জানান, ভগবান রামচন্দ্র যে আদিবামীদের দেবতা তা তাদের মধ্যে প্রচার করার জন্যই তিনটি রামলীলা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। উপজাতি মহিলা সাবিত্রী ও শাসক নিশাদ রাজ ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের ভক্ত ছিলেন, সেকথা প্রচার করা হবে এই রামলীলার মাধ্যমে। যদিও এখানের অনেকেই বলছেন, সরকার ধর্ম প্রচারের নামে বিভেদ করতে চাইছে। ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্ক্রিপ্ট রাইটার যোগেশ ত্রিপাঠী জানান, পাঁচ মাস ধরে গবেষণা করে রামলীলার তিনটি স্ক্রিপ্ট তৈরি করা হয়েছে। অনেক নথি থেকেই স্পষ্ট, প্রায় ১৪ বছর আদিবাসীদের সঙ্গে কাটিয়েছেন রামচন্দ্র। তাঁদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছেন তিনি। এই গোটা বিষয়টি সামনে আসার পর নিন্দার ঝড় উঠেছে মধ্যপ্রদেশ জুড়ে।
মধ্যপ্রদেশ সরকারের এই উদ্যোগকে নিন্দা করেছেন সমাজসেবী নরেশ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘সরকার আদিবাসীদের হিন্দুত্বকরণের চেষ্টা করছে। যা আদিবাসীদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।’ মধ্যপ্রদেশের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী উষা ঠাকুর বলেন, ‘এক শ্রেণির মানুষ বলার চেষ্টা করছেন যে আদিবাসীদের কোনও ধর্ম নেই্। কিন্তু আদিবাসী অর্থাৎ জঙ্গলে বসবাসকারীরাও হিন্দু। রামায়ণ খুবই প্রাচীন গ্রন্থ। সেখানে সাবিত্রী, নিশাদ রামের অনুগামী ছিলেন। সেই কথাই প্রচার করা হবে।’ উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল সেমিনারে বলেছিলেন, ‘অতীতে আদিবাসীরা হিন্দু ছিলেন না, এখন তাঁরা হিন্দু নয়।’