শহরের মতো এবার মধ্যপ্রদেশের গ্রামেও সম্পত্তি, জল, আবর্জনা ও নিকাশির ক্ষেত্রে কর আদায়ের উদ্য়োগ। মূলত রাজস্ব বৃদ্ধি ও পঞ্চায়েতের আয় বৃদ্ধির জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইন্তখেড়ি গ্রামে ইতিমধ্য়ে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। সেখানে সকাল হলেই আসছে জঞ্জাল পরিষ্কারের গাড়ি। পানীয় জলেরও সুব্যবস্থা হয়েছে। তবে এসবের জন্য গাঁটের কড়ি খরচ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। মধ্যপ্রদেশের প্রায় ২৩ হাজার গ্রামে এই ধরনের কর আরোপের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। ইন্তখেড়ির পঞ্চায়েত প্রধান লীলা বাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মাসিক জলকর ১০০ টাকা, নিকাশির জন্য মাসিক ৩০ টাকা ও প্রতি দু লাখে ২০০ টাকা করে সম্পত্তি কর দিতে হবে। তবে জেলা প্রশাসন সম্পত্তি করটি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। অন্যান্য করগুলি পঞ্চায়েতি রাজ আইন অনুসারে পরিবর্তন করতে পারে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত।
তবে ইতিমধ্যেই এই করের বিরোধিতা করছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁদের দাবি সরকারি প্রকল্পের রূপায়নের জন্য কেন কর দিতে হবে? এদিকে পঞ্চায়েত সচিব গুলাব সিং মেহেরার দাবি, রাস্তা পরিষ্কার, বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ, পরিশ্রুত পানীয় জল দেওয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের। এখন গ্রামের অনেকেই বুঝছেন। ১লা অক্টোবর থেকে অনেকেই কর দিচ্ছেন। গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য রাধা মীনা বলেন, অনেকেই প্রথম দিকে বুঝতে চাইছিলেন না। তবে তাঁদের পুরোপুরি বুঝতে সময় লাগবে। এদিকে কয়েকটি গ্রামে সাফল্যের পর সরকারও এনিয়ে নড়েচড়ে বসেছে। কর আদায়ের ব্যাপারে প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে জুন মাস থেকে। পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দফতরের সচিব উমাকান্ত উমরাও বলেন, গ্রামগুলিকে স্বরনির্ভর করার জন্য আমরা সবে মাসিক করের ব্যাপারটা শুরু করেছি। তবে দারিদ্রসীমান নীচে যারা রয়েছেন তাদের কর থেকে রেহাই দেওয়া হবে।