চারজন প্রতিবেশীকে ধর্ষণের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ৪৬ বছর বয়সী এক মহিলা ও ২৯ বছর বয়সী তার জামাইয়ের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মিথ্যা মামলাও তারা সাজিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এবার শাশুড়ি ও জামাইকে ১০ বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মধ্যপ্রদেশের অশোকনগরের ঘটনা। আদালত সূত্রে খবর,ওই মহিলার সঙ্গে তার জামাইয়ের সম্পর্ক ছিল। এরপরই ২০১৪ সালে তিনি প্রতিবেশী চারজনকে ফাঁসানোর সিদ্ধান্ত নেন। তাদেরকে পাশে না পেয়েই এই ছক কষেছিলেন ওই মহিলা। সরকারি আইনজীবী মহম্মদ আজম জানিয়েছেন একথা।
এদিকে ওই প্রতিবেশী চারজনের বিরুদ্ধে যখন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তখন গোটা বিষয়টি কার্যত মানতে চাননি তারা। তারা পুলিশের কাছে দাবি জানায় মহিলার জামাকাপড়ের সঙ্গে জামাই গোপাল রজকের শুক্রাণু মিলিয়ে দেখা হোক। এরপরই ক্রমে আসল সত্য় বেরিয়ে আসে। অ্যাডিশনাল সেশন জাজ ওই মহিলা ও তার জামাই গোপাল রজককে ১০ বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দেয়। তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। সরকারি আধিকারিকদের মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে।
সরকারি আইনজীবী জাফর কুরেশি বলেন, এটা একটা বিরলতম ঘটনা।২০১১ সালে স্বামীকে হারিয়েছিলেন ওই মহিলা। ২০১৪ সালে তিনি অভিযোগ করেন চারজন তাকে গণধর্ষণ করেছে। চারজনকে পুলিশ গ্রেফতারও করে। মেডিক্যাল রিপোর্টেও ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়। এদিকে অভিযুক্তরা দাবি করে ডিএনএ টেস্ট করা হোক। এরপরই পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায় ওই মহিলাকে চারজন ধর্ষণ করেনি। এরপর গোপালের নমুনার সঙ্গে মিলে যায় মহিলার কাপড় থেকে সংগৃহীত নমুনা। পরে গ্রেফতার করা হয় গোপাল। সে স্বীকার করে নেয় শ্বাশুড়ি গুড্ডির সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা।