ইউটিউবে ওই ভিডিয়োগুলো দেখেছেন? সাদা থান পরে কেউ রাতের অন্ধকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভয় দেখাচ্ছেন? কিছুটা এমনই ঘটল রাতের গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। তবে প্র্যাঙ্ক ভিডিয়ো নয়। এর পিছনে ছিল গাড়ি থামিয়ে ছিনতাইয়ের ছক।
রাত সাড়ে দশটা। গরুমারা জাতীয় উদ্যান বরাবর ৩১ নম্বর জাতীয় উদ্যান দিয়ে গাড়ি করে যাচ্ছিলেন একদল পর্যটক। ডুয়ার্স থেকে লাটাগুড়ির দিকে ফিরছিলেন তাঁরা। হঠাত্ আঁতকে উঠলেন ড্রাইভার।
দেখা গেল গাড়ির সামনে রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে সাদা থান, উসকো-খুসকো চুলের এক মহিলা। ভয়ে ততক্ষণে সবার গলা শুকিয়ে গিয়েছে। জঙ্গলের মাঝে, শুনশান রাস্তায় মহিলা কোথা থেকে এল!
হঠাত্ই গাড়ির দিকে ছুটে এলেন ওই মহিলা। সোজা লাফ মারলেন বনেটের উপর। গাড়ির সকলেরই আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড়। ব্যতিক্রম এক সাহসী ব্যক্তি।
পেত্নী আবার বনেটের উপর উঠে লাফালাফি করে নাকি! মনে হতেই গাড়ি থেকে বেরিয়ে জাপটে ধরলেন মহিলাকে। সঙ্গে সঙ্গেই ঘাবড়ে গেল পেত্নী, থুড়ি ওই মহিলা। বাকিরাও আসল কেসটা বুঝতে পারেন।
এরপর সকলে মিলে ওই মহিলাকে ঘিরে ধরেন। ভয়ের চোটে মহিলা বলেন, 'আমি কিছু জানি না, আমার সঙ্গে আরও ৮ জন আছে। তারা জঙ্গলেই লুকিয়ে আছে।'
ততক্ষণে অবশ্য চেঁচামেচিতে আরও লোকজন জড়ো হয়ে গিয়েছে। রাস্তার দুই ধারে সঙ্গে সঙ্গে টর্চ ফেলে খোঁজাও হয়। তবে, কেউ সেখানে অপেক্ষা করলেও ততক্ষণে পগার পার হয়ে গিয়েছে।
সকলের অনুমান, গাড়ি থামিয়ে ছিনতাইয়েরই পরিকল্পনা ছিল। মহিলা একটু ওভারঅ্যাকটিং করে ফেলায় এবং টাইমিংয়ের গন্ডগোলে ব্যাপারটা ভেস্তে গিয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মেটেলি থানার পুলিশ৷ ধরা পড়ার পর থেকেই অসংলগ্ন কথা বলছেন ওই মহিলা। তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। এর পেছনে কোনও ছিনতাই চক্র আছে কিনা, তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।