বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে বড় বার্তা দিলেন বাংলাদেশের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন। উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চায়। কিন্তু, বাংলাদেশ যে ১৯৭১ সালের ভয়াবহ স্মৃতির কথা ভুলে গিয়েছে, এমন ধারণাও ভুল। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সম্পর্ক আরও সহজ হবে, যদি পাক সরকার ১৯৭১ সালে যা ঘটেছিল তা উল্লেখ করার সাহস দেখায় এবং বলে যে তারা এর জন্য ক্ষমা চাইতে চাইছে।’
আরও পড়ুন: ভোররাতে ১৭ বাংলাদেশির অনুপ্রবেশের চেষ্টা! পত্রপাঠ ফেরত পাঠাল হিমন্তর অসম
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। তখন গত ২৫ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই কথা উল্লেখ করে তৌহিদ বলেন, ‘দেখা করার অর্থ এই নয় যে সব বাংলাদেশ সব ভুলে গিয়েছে।’
বাংলাদেশের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি একটি সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ ছিল...। যখন আমরা আলোচনায় বসব, তখন আমরা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি উত্থাপন করব। বর্তমান সরকার কোনওভাবেই ইঙ্গিত দেয়নি যে বাংলাদেশ ১৯৭১ সালকে বাদ দিয়ে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে ইচ্ছুক। ১৯৭১ সালে যা ঘটেছিল, তা সবসময় আমাদের হৃদয়ে রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকারি অবস্থান সর্বদাই ছিল যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় নিরস্ত্র বাংলাভাষী জনগণের উপর নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-কে (বিজিবি) শক্তিশালী করার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তান থেকে ৩৫ হাজার ৭.৬২ মিমি এ কে-১৫ সেকেন্ড হ্যান্ড অ্যাসল্ট রাইফেল কিনছে বলে একটি মহলের তরফে জানানো হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ডিসেম্বরের মধ্যেই বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদ বাংলাদেশে পৌঁছনোর কথা আছে । শুধু তাই নয়, এও শোনা যাচ্ছে দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক গভীর করতে পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তারা জঙ্গি-বিরোধী কার্যকলাপের প্রশিক্ষণ দেবে বাংলাদেশকে। পাকিস্তানে চেরাটে যৌথ প্রশিক্ষণেও অংশ নেবে বাংলাদেশ সেনা। ঠিক সেই আবহে বাংলাদেশের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টার এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।