বাংলাদেশে দুর্নীতি নিয়ে আক্ষেপ করলেন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। তিনি বার্তা দিয়েছেন, দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে আর আর কোনও রাস্তা নেই। যদি দুর্নীতি থেকে মুক্তি না হওয়া যায় তাহলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আর কোনও রাস্তা থাকবে না। এছাড়া, যেভাবে জালিয়াতি করে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট পাওয়া যাচ্ছে তা নিয়ে তিনি আক্ষেপ করেন। প্রধান উপদেষ্টার কথায়, ‘লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে।’ রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে যোগ দিয়ে একথা বলেন মহম্মদ ইউনুস।
আরও পড়ুন: সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হুমকি দেওয়া ইউনুসের গলার সুর হঠাৎ যেন বদলে গেল, বললেন…
ইউনুস এদিন বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি কীভাবে হচ্ছে? তার একটি উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন যে অযোগ্য কর্মীরা মধ্যপ্রাচ্যে চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য জাল মেডিক্যাল সার্টিফিকেট বের করছে। তিনি বলেন, যে বিশ্বব্যাপী দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিম্ন। দেশটিতে যে সততা এবং শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে তা স্পষ্টভাবে স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। ইউনুস বলেন, দুর্নীতি নির্মূল করতে না পারলে অগ্রগতি সম্ভব হবে না। সরকারি আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে ইউনুস দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, যে বাংলাদেশকে একটি সৎ ও স্বচ্ছ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু বক্তৃতাই যথেষ্ট নয়। তিনি আরও জানান, যে অল্প সময়ের মধ্যেও তাঁর সরকার দুর্নীতির মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে। তিনি ঘুষ এবং অসদাচরণের সুযোগ কমাতে অনলাইন পরিষেবা বাড়ানোর ওপরেও জোর দেন।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক সহায়তায় অনেক ডিজিটাল পরিষেবা চালু করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলি পূর্ণভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না। ইউনুস আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চায়। কারণ এটি সরাসরি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উপর প্রভাব ফেলে। স্বচ্ছতা ছাড়া, ভিন দেশগুলি বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে ইতস্তত বড় করছে। ইউনুসের মতে, দুর্নীতি সব শেষ করে দিচ্ছে। এর পাশাপাশি তিনি অর্থনৈতিক সুবিধা সর্বাধিক করার জন্য নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সঙ্গে আরও ভালো আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।