এর আগে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করার ইচ্ছে প্রকাশ করে দিল্লির রক্তচাপ বাড়িয়েছে চিন। এদিকে চিনের 'গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভে' বাংলাদেশ যোগদান করবে কি না, তাও ভারতের কাছে ভাবনার বিষয় হতে পারে। এই সবের মাঝেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা চিন সফরে যাচ্ছেন। এই আবহে দুই দেশের মধ্যে কোনও চুক্তি হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এই আবহে যাবতীয় জল্পনা নিয়ে সরাসরি জবাব দিলেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এর আগে তৌহিদ নিজেও চিন সফরে গিয়েছিলেন। (আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশে শত্রু নয় চিন, তারা প্রতিদ্বন্দ্বী', ইউনুসের সফরের আগে দাবি জয়শংরের)
আরও পড়ুন: চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর জামিন মামলায় বড় নির্দেশ বাংলাদেশ হাইকোর্ট বেঞ্চের
আজ ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়ে দেন, প্রধান উপদেষ্টা ইউনুসের চিন সফরকালে কোনও চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে না দুই দেশের মধ্যে। তবে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক বা মউ স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জনান তিনি। এদিকে চিনের 'গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভে' বাংলাদেশ যোগ দেবে কি না, সেই প্রসঙ্গে তৌহিদ বলেন, 'আমি এই বিষয়ে নিশ্চিত নই। এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। জিডিআইতে যুক্ত হতে আমাদের আপত্তি নেই, তবে আমরা এর অংশ হব কি না তা দেখতে হবে।' (আরও পড়ুন: ঢাকায় ঘুরল খেলা! সেনা প্রধানের সাথে বৈঠক নিয়ে উলটো দাবি হাসনাতের বেস্ট ফ্রেন্ডের)
আরও পড়ুন: মোদী-ইউনুস বৈঠক নিয়ে জয়শংকরের বক্তব্যের পর কী বললেন বাংলাদেশি বিদেশ উপদেষ্টা?
জানা গিয়েছে, চিনের পাঠানো বিমানে করেই চারদিনের সরকারি সফরে সেই দেশে যাচ্ছেন ইউনুস। সেখানে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। এদিকে ইউনুসের চিন সফর নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, 'বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার এই সফর হবে মাইলফলক। এ সফর ফলপ্রসু ও গঠনমূলক হবে বলে প্রত্যাশা করছি। দুই দেশ কীভাবে পারস্পরিক ভাবে লাভবান হতে পারে, সেদিকেই নজর দিচ্ছি আমরা।' এদিকে ইউনুসের চিন সফর নিয়ে বাংলাদেশের বিদেশ সচিব এম জসিমউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ইয়াও ওয়েন।
এদিকে বাংলাদেশে তিস্তা প্রকল্পের ওপর বহুদিন ধরেই নজর চিনের। তবে সাম্প্রতিক চিন সফরে যে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি, তা ঢাকায় ফিরে নিজেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশি বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এর আগে ২০২৪ সালে হাসিনা জমানায় তিস্তা প্রকল্পে ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল চিন। এদিকে দিল্লি সফরে এসে মোদী সরকারের থেকেও এই তিস্ত প্রকল্প নিয়ে প্রস্তাব পেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এরপরই বাংলাদেশ ফিরে হাসিনা বলেছিলেন, দুই দেশের প্রস্তাবই খতিয়ে দেখা হবে। তবে এখন ঢাকার মসনদে শেখ হাসিনা নেই। এই আবহে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ কোন পথে হাঁটে, তার দিকে নজর থাকবে কূটনৈতিক মহলের। উল্লেখ্য, ভারতের শিলিগুড়ি করিডরের কাছেই সীমান্ত পারে তিস্তার ওপরে চিন একটি বাঁধ তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশকে। ২০২০ সালেই নাকি সেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ঢাকাকে। তবে বাংলাদেশ নাকি সেই প্রস্তাবে এখনও সায় দেয়নি।