সম্প্রতি মার্কিন সফরে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করে এসেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের উদ্বেগের বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে তুলে ধরেছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। যার পরে মোদীর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছিলেন, 'বাংলাদেশের বিষয়টি মোদীর ওপর ছেড়ে দিলাম।' এদিকে ট্রাম্পের সেই মন্তব্যের পরই ওমানের মাসকটে মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং বাংলদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। সেখানে কি ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে আলোচনা হয়েছিল? ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে এই নিয়ে সাক্ষাৎকারে তৌহিদ বলেন, মোদী-ট্রাম্প আলোচনা নিয়ে তিনি জয়শংকরের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি।
দ্য হিন্দুকে তৌহিদ বলেন, 'ওখানে কী আলোচনা হয়েছে, তা ভারতের বিষয়। তবে আমার মতে বাংলাদেশ নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই ভারতের। ইতিমধ্যেই আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভবাবিক হচ্ছে। যেমন বাণিজ্য। প্রাথমিক ভাবে বাণিজ্যে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। তবে সম্প্রতি তা ফের চাঙ্গা হয়ে উঠছে। উভয় দেশেরই পারস্পরিক স্বার্থ রয়েছে।'
এদিকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে তৌহিদ অকপটে বলেন, 'সত্যি বলতে গেলে বিগত দিনে দুই দেশের সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছিল বটে। এর আগে ভাগত গত ১৫ বছর ধরে একটি নির্দিষ্ট ধরনের সম্পর্কে অভ্যস্ত ছিব। হঠাৎ করে তা বদলে গিয়েছে। এর জেরে হয়ত নতুন বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লেগেছে ভারতের। এর জেরে অস্বস্তি তৈরি হয়ে থাকতে পারে, নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হতে পারে। তবে আমাদের মনে হয়, এই ৬ মাসে সেই বিষয়টি শেষ হয়ে যাওয়া উচিত। দুই দেশের মধ্যে এমন এক পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে আমরা একে অপরের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারি। একে অপরের সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারি।'
অপরদিকে বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার ইস্যুতে তৌহিদের বক্তব্য ছিল, 'বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দু বা অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দেশের সমান নাগরিক। যেকোনও মুসলিমের মতো তাদের সম অধিকার রয়েছে। তাদের সুরক্ষা দেওয়া বাংলাদেশ সরকারের কাজ। দুর্ভগ্যবশত ৫ অগস্টের পরে এই বিষয়টিকে ভারতীয় মিডিয়া অতিরঞ্জিত করে দেখিয়েছে। যার বেশির ভাগই মিথ্যা। দু'দিন আগেই রাষ্ট্রসংঘের অনুসন্ধান রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ছিল না।'