বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রাক্তন এবং বর্তমান মিলিয়ে মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে সম্প্রতি। এই আবহে হঠাৎই গুঞ্জন শুরু হয়েছে, এরপর কী আরও সেনা আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে ইউনুসের সরকার? এদিকে বাংলাদেশি সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে ইউনুস সরকারের দ্বন্দ্ব নিয়ে নানা দাবি করা হয়েছে বিগত দিনে। এমনকী ওয়াকারকে সেনা প্রধানের পদ থেকে সরাতে 'ষড়যন্ত্র' করা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে। এই আবহে এবার মুখ খুললেন ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বাংলাদেশি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, 'আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের প্রধান প্রসিকিউটরের দফতর থেকে জানতে পেরেছি যে এই মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই।' এর আগে বাংলাদেশের সমাজমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে চলেছে। সেই বার্তা ভাইরাল হয়। এই প্রসঙ্গে শফিকুল বলেন, 'এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া গুজব। এই ধরনের অপপ্রচার সাধারণ মানুষের মধ্যে, বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর ভেতরে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে চালানো হচ্ছে।'
এদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫ জন অফিসারকে মানবতাবিরোধী ৩টি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশ সেনার সদর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যে ১৬ জন সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে একজনের এখনও হদিশ মিলছে না বলে দাবি করেছে বাংলাদেশের সেনা। আপাতত এই ১৫ জনকে সেনা নিজেদের হেফাজতেই নিয়েছে। জানানো হয়েছে, মামলার নির্দিষ্ট তারিখে সেনাবাহিনী এই অফিসারদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করবে। এদিকে যে গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে বাংলাদেশি সেনা অফিসারদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, সেটার কপি এখনও হাতে আসেনি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনার অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মহম্মদ হাকিমুজ্জামান। এদিকে অবসরপ্রাপ্ত যে ৯ সেনা কর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানানো হয়েছে বাহিনীর তরফ থেকে।